১৭ জুন ২০২৪, সোমবার



পুঁজিবাজার

বিনিয়োগকারীদের যেসব সুবিধা দেবে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ

মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান || ০৮ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৮:৩১ পিএম
বিনিয়োগকারীদের যেসব সুবিধা দেবে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ


দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে এলে ভালো কিছুই করবে। তালিকা-পরবর্তী কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের আশানুরূপ ডিভিডেন্ড (লভ্যাংশ) দেবে।  ইতোমধ্যে কোম্পানির বিডিংয়ের মাধ্যমে কাট-অব প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি কোম্পানির সাবস্ক্রিপশন শুরু হবে; শেষ হবে ২২ জানুয়ারি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানির শেয়ার প্রতি কাট-অব প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। যেখান থেকে ৩০ শতাংশ ডিসকাউন্টে অথবা ২০ টাকায়; সর্বনিম্ন যে প্রাইস হয় সেই প্রাইসে প্রতিটি শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারণ করা হবে। কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা উত্তলন করবে।

কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন বলছে,  ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে কোম্পানির পুনঃমূল্যায়নসহ শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) ৩৪ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৩৪.৩৫  টাকা। ২০২০-২০২১  অর্থবছরে বছরে কোম্পানির মোট আয় হয়েছে ১৪৫ কোটি ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৮৭০ টাকা। এর আগের বছর যা ছিল ১৩২ কোটি ৬৩ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭৫ টাকা। আর ২০২০-২০২১ অর্থবছরে কোম্পানির করপরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৩২ কোটি ৫ লাখ ২৪ হাজার ৪৩২ টাকা। এর আগের বছর যা ছিল ২৪ কোটি ২৪ লাখ ৫১ হাজার ৫৯৩ টাকা। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানির করপরবর্তী মুনাফা বেড়েছে ৭ কোটি ৮০ লাখ ৭২ হাজার ৮৩৯ টাকা।

কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয়ও বেড়েছে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.৬৫ টাকা; এর আগের বছর যা ছিলো ২.৭৬ টাকা।

কোম্পানির প্রসপেক্টাস থেকে জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে কোম্পানির মোট সম্পদ ছিল ৫৮৬ কোটি ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৩ টাকা। এর আগের যা ছিল ৩৬০ কোটি ৭৯ লাখ ৮৭ হাজার ৭২০ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানির মোট সম্পদ বেড়েছে ২২৫ কোটি ৫৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৪৩ টাকা। ২০২০-২০২১  অর্থবছরে কোম্পানির নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার (এনওসিএফপিএস) ছিল ৪.৯২ টাকা; এর আগের অর্থবছরে যা ছিলে ৩.৯২ টাকা।

পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের মোট সম্পদ বেড়েছে, কোম্পানির ইপিএসও সন্তোষজনক। তাই সহজেই বলা যায়, কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বছর শেষে পর্যাপ্ত লভ্যাংশ দেবে। তবে, অনেক কোম্পানি রয়েছে, যারা পুঁজিবাজারে আসার আগে তাদের সম্পদ, শেয়ার প্রতি আয় ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখায়। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর শেয়ার প্রতি আয়, সম্পদ, মুনাফা কমে যায়। এমনকি মুনাফা ঋণাত্বকে চলে যায় এবং ঠিকভাবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিতে পারে না। ফলে কোম্পানিগুলোর এমন দুর্দশা দেখে আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে যাই।’

কাজী আব্দুর রাজ্জাক আরও বলে, ‘আশা করবো, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ক্ষেত্রে তেমনটি হবে না। কোম্পাটির যেহেতু গ্রোথ ভালো, তাদের এই গ্রোথ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।’

এই প্রসঙ্গে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের সচিব ইশতিয়াক আহমেদ ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আমাদের কাছ থেকে যেমন ডিভিডেন্ড আশা করছে তালিকাভুক্তির পর তেমন ডিভিডেন্ড দিতে পারবে কোম্পানি। আর কোম্পানির প্রসপেক্টাসে সঠিক আর্থিক প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয়েছে।’

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের সব কিছু দেখেই তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। এর বেশি আর কিছু বলতে পারবো না।’ 

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন