২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার



ঝাঁজ বেড়েছে আদার, ক্ষোভ বেড়েছে ক্রেতার

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ১৫ জুন, ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
ঝাঁজ বেড়েছে আদার, ক্ষোভ বেড়েছে ক্রেতার


দিনাজপুরের হিলিতে মাত্র একদিনের ব্যবধানে আদার দাম মানভেদে বেড়েছে কেজিতে ১০০ থেকে ১২০  টাকা।  শুক্রবার (১৪ জুন) প্রতিকেজি আদা  ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। পরদিন শনিবার (১৫ জুন) প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে।  এতে ক্রেতাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। তারা বলছেন, একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০০ টাকা দাম বাড়ার বিষয়টি অবিশ্বাস্য।    

হিলিবাজারে মসলা কিনতে এসেছেন গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, ‘কোরবারি ঈদ বা রোজার ঈদের সময় সব পণ্যের দাম একটু বাড়ে। কিন্তু কেজিতে ১০০ টাকা? এটা আশ্চর্যজনক বিষয়। এই ব্যাপারে প্রশাসের নরজদারি প্রয়োজন।’ 

আরেক ক্রেতা মো. ফজলুল হক বলেন, ‘প্রতিবছর কোরবানির ঈদের সময় পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ সবধরনের মসলার দাম বাড়ে। কিন্তু কোনো পণ্যের দাম একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০০ টাকা বাড়ে না। আমার জীবনের এটাই প্রথম দেখলাম।’ 

ফজলুর হক আরও বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার (১৪ জুন) আমার ছোট ভাই প্রতিকেজি আদা ২০০ টাকা দরে কিনেছেন। আর আজ বাজারে এসে দেখছি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি। বাধ্য হয়ে ৫০০ গ্রামের জায়গায় ৮০ টাকা দিয়ে ২৫০ গ্রামে আদা কিনলাম।’

আদা বিক্রেতা মো. মোকরাম হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমি নিজেই খরিদ্দারের কাছে আদার দাম চাইতে সংকোচবোধ করছি। কিন্তু উপায় নেই। বেশি দামে কেনা। তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।’

মোকারম হোসেন আরও বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে হিলিবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ আছে। তাই হয়তো যেসব আমদানিকারকের কাছে আদা মজুদ আছে, তারা বেশি দামে বিক্রি করছেন। বৃহস্পতিবার ( ১৩ জুন) পাইকারি মানভেদে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে কিনে ২০০ টাকায় বিক্রি করি। আর গতকাল (১৪ জুন) প্রতিকেজি আদা কিনতেই হয়েছে মানভেদে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা দরে। তাই আজ বিক্রি করছি ৩২০ টাকা কেজি দরে। আমরা খুচরা বিক্রেতা। আমরা তো আর আমদানি করি না। আমদানিকারকদের কাছ থেকে পাইকারি কিনে খুচরা বিক্রি করি। যে দামে কিনি তার চেয়ে  কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি।’ 




আরো পড়ুন