২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার



ঝাল কমলো কাঁচামরিচের, রাগ কমলো ক্রেতাদের

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ১৬ জুন, ২০২৪, ১২:০৬ পিএম
ঝাল কমলো কাঁচামরিচের, রাগ কমলো ক্রেতাদের


একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কাঁচামরিচের দাম কমেছে কেজি ৪০ টাকা। শনিবার (১৫ জুন) প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর রোববার (১৬ জুন)  বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। এতে কিছুটা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

ক্রেতারা বলছেন, কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার বিষয়টি ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছিল। তবে আরও একটু দাম কমলে ক্রেতাদের জন্য আরও ভালো হতো। বিক্রেতারা বলছেন, কাঁচা পণ্যের দাম নির্ভর করে বাজারে সরবরাহের ওপরে।   

হিলিবাজারে সবজি কিনতে এসেছেন মো. আব্দুল মমিন । তিনি বলেন, ‘গতকাল শনিবার (১৫ জুন) মসলার সঙ্গে কিছু কাঁচা সবজির কিনতে আসি। শসা, লেবু। কিন্তু কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছিল। তাই কাঁচামরিচ না কিনে ফিরে যাই। আজ ফের বাজারে এসেছি, কাঁচামরিচ কিনতে। আজ আবার কেজিতে ৪০  টাকা কমে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমি ৪০  টাকা দিয়ে ২৫০ গ্রাম কিনলাম।’

আরেক ক্রেতা মো. আবু তোরাব বলেন, ‘কাঁচামরিচ মূলত লাগে সালাদ তৈরিতে। তাই কোরবানির ঈদে কাঁচামরিচের চাহিদা বাড়ে। ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে ইচ্ছেমতো কাঁচামরিচের দাম বাড়ান। আবার কমান। গতকাল  (১৫ জুন) প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর আজ  (১৬ জুন) ৪০ টাকা কমে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’

সবজি বিক্রেতা মো. সিদ্দিক হোসেন বলেন, ‘সব কাঁচাপণ্যের দাম নির্ভর করে বাজারে সরবরাহের ওপরে। সরবরাহ যখন বাড়ে তখন দাম কমে আসে। আবার সরবরাহ যখন কমে দাম বেড়ে যায়। আমরা তো আর আবাদ করি না। আমদানিকারক বা কৃষকদের কাছ থেকে কিনে বিক্রি করি। শুক্রবার (১৪ জুন) প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১৯০ টাকা দরে কিনে ২০০ টাকায় বিক্রি করি। আর গতকাল শনিবার (১৫ জুন)  ১৫০ টাকা কেজি দরে কিনে কেজিতে ১০ টাকা লাভ রেখে আজ (১৬ জুন) ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করছি।’



আরো পড়ুন