২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার



লাখো পর্যটক-বরণে প্রস্তুত কক্সবাজার

তাফহীমুল আনাম, কক্সবা || ১৬ জুন, ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
লাখো পর্যটক-বরণে প্রস্তুত কক্সবাজার


এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে মিলছে লম্বা ছুটি। এ ছুটিতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগমের আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আর পর্যটকদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল।

এছাড়া পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে কিছু কিছু হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউজ। শুরু হয়েছে অগ্রিম বুকিংও।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। বালুকাময় এই সমুদ্র সৈকত দেখতে প্রতিদিন লাখ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। বিশেষ দিনে পর্যটকদের এই সংখ্যা বেড়ে হয়ে যায় দ্বিগুণেরও বেশি। সামনে ঈদুল আজহার বিশেষ সরকারি ছুটিতে কয়েক লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসতে পারেন বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা। 

কক্সবাজার আবাসিক হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে যে পর্যটক সমাগম হবে, তা দীর্ঘ সময় হবে না। কারণ তীব্র গরমের পর নেমে আসবে বর্ষা। তখন পর্যটন ব্যবসা প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে আসে। তাই ঈদের ছুটিটাই প্রধান লক্ষ্য পর্যটন ব্যবসায়ীদের। সেভাবে সবাই প্রস্তুত রয়েছে। আশা করছি ভালো একটা ব্যবসা হবে।’

তারকা মানের হোটেল রয়েল বিচ রিসোর্টের ম্যানেজার নুর উদ্দিন নুর বলেন, ‘আমাদের হোটেলের রুম বুকিং চলমান রয়েছে। অনেকে এখনো অনলাইনে অফলাইনে রুম বুকিং দিচ্ছেন ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ হয়েছে।’

গ্র্যান্ড সেন্ডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমান বলেন, ‘কক্সবাজারে প্রতি মাসে পর্যটক থাকে, তবে বিশেষ বিশেষ দিনে পর্যটকের আনাগোনা বেড়ে যায়। পর্যটকদের আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে এবং আরামদায়ক ভ্রমণের লক্ষ্যে হোটেল-মোটেলে প্রায় ৩০% পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে।’

কক্সবাজার কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোখিম খান বলেন, ‘ঈদের সময় প্রতিটি হোটেল-মোটেল পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। ভ্রমণপিপাসুদের নজর কাড়তে জোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে। আবাসিক হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট ও দোকানগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। সমুদ্র শহরে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম। পর্যটকরা যাতে হয়রানি, চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং ও অসৎ ব্যবসায়ী ও ক্যামেরা ম্যানদের মাধ্যমে প্রতারিত না হন, সেজন্য সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

কক্সবাজার হোটেল মোটেল ও রেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘এবারের ঈদুল আজহার ছুটিতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটক সমাগম হবে বলে আমরা আশা করছি। পর্যটকদের বরণ করে নিতে আমাদের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। কক্সবাজারের প্রায় হোটেল বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকরা যেন হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে লক্ষ রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’  

ঈদে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ‘আসন্ন ঈদে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। এছাড়া বিশেষ বিশেষ টিম মাঠে নামানো হবে। বিচ নিরাপত্তাসহ সব অপরাধীর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে এই টিম। নিরাপত্তার পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা টিম থাকবে। সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ইতোমধ্যে বসানো হয়েছে টেলিকম সেবা, অ্যালার্ম বাটন ও মোবাইল চার্জিং সেবা। পুরো এলাকা সিসি টিভির আওতায় বলে জানিয়েছেন আপেল মাহমুদ।’



আরো পড়ুন