২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার



ক্যাম্পাস
প্রিন্ট

সহকারী জজ নিয়োগে সুমাইয়া ও তানিয়া সুপারিশপ্রাপ্ত

আসলাম বেগ এবং আহসান হাবীব, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় || ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩, ১১:০১ পিএম
সহকারী জজ নিয়োগে সুমাইয়া ও তানিয়া সুপারিশপ্রাপ্ত


বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের (বিজেএসসি) অধীন সহকারী জজ নিয়োগের পঞ্চদশ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সুপারিশপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষার্থী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে প্রকাশিত বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (জেলা ও দায়রা জজ) শরীফ এ এম রেজা জাকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত দুইজন হলেন সুমাইয়া জান্নাত পলি (মেধাক্রম ৫৮) ও তানিয়া আক্তার (মেধাক্রম ৯৩)।  তাদের রোল যথাক্রমে  ১২১০২ ও ১২৩৭৭।  এবারে মোট ১০৩ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, পলি ও তানিয়া দুজনই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের (প্রথম ব্যাচ) শিক্ষার্থী৷ তাদের এ অর্জনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন এই বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

অনুভূতি প্রকাশ করে সুমাইয়া জান্নাত পলি বলেন, ‌আমার প্রাইমারিতে হয়েছে। যেখানে পদায়ন হয়েছে সেটা আমাদের বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। আমি নিশ্চিত ছিলাম না কী করবো। আজকের এই ফলাফলের প্রত্যাশায় ছিলাম। জানতাম ভালো কিছুই হবে। যখন শুনলাম তখন অসাধারণ এক অনুভূতি হয়েছে, যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। পড়াশোনার ক্ষেত্রে সবসময় তানিয়ার সঙ্গে কথা হতো। তবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তানিয়া আক্তার বলেন, অজপাড়াগাঁ থেকে উঠে আসা এক মেয়ে আমি। যার তেমন বড় কোনো স্বপ্ন ছিল না। আজ সেই আমিই এত বড় অর্জনের সাক্ষী হলাম। মনে হচ্ছে যেন আকাশ ছুঁয়েছি। সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য। এরপর আমার বাবা মা ও শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। বন্ধুবান্ধবদের সাহস আমাকে অনেকটা আত্মবিশ্বাস দিয়েছে, তাদেরকেও কৃতজ্ঞতা জানাই।

এ বিষয়ে বিভাগটির বিভাগীয় প্রধান আহসান কবির বলেন, এটি আমাদের অনেক বড় একটি প্রাপ্তি। আইন বিভাগের যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে। তারা আমাদের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী। অনেক কষ্ট পরিশ্রম করে তারা ক্লাস পরীক্ষাগুলো দিয়েছে। শিক্ষক সংকট ছিল, ক্লাসরুম সংকট ছিল, কিন্তু তাদের পরিশ্রমের কারণে তারা এটি অর্জন করতে পেরেছে। এভাবেই আইন বিভাগ এগিয়ে যাক, ভবিষ্যতে এ সংখ্যাটা উত্তরোত্তর বাড়ুক- এটিই প্রত্যাশা। সে উদ্দেশ্যে আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিতে বদ্ধপরিকর।

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন