২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার



বাগেরহাটের কামারপল্লী, চলছে শেষ মুহূর্তের টুংটাং

জামাল হোসেন বাপ্পা, বাগেরহাট || ১৬ জুন, ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
বাগেরহাটের কামারপল্লী, চলছে শেষ মুহূর্তের টুংটাং


ঘামছে কামার, পুড়ছে লোহা, তৈরি হচ্ছে ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এসব তৈরিতে বাগেরহাটের কামার শিল্পীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। হাঁপরের ফাসফুস আর হাতুড়ি পেটার  টুং টাং শব্দে মুখরিত বাগেরহাটের কামারপল্লীগুলো।

মোসলমানদের সর্ববৃহৎ উৎসব কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কোরবানির পশু জবাই দিতে ধারালো অস্ত্র সংগ্রহে ব্যস্ত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। পছন্দের পশুটিকে কোরবানি করবেন। এজন্য ছুরি, বটি, দা ধার দিতে কামার শিল্পের কাছে ধরনা দিচ্ছেন তারা।

সরেজমিনে বাগেরহাট শহরের কামার পট্রিতে দেখা গেছে, শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। কথা বলার সময় নেই। কামারপল্লীতে ঢুকতেই এক আলাদা অনুভুতি চলে আসে। টুং টাং শব্দকে মনে হয় শৈল্পিক মিউজিক।

কামারশিল্পী রতন কুমার জানান, পাকিস্তান আমল থেকে এই কামার শিল্প গড়ে উঠেছে। বংশ পরম্পরা আজ পর্যন্ত এই কাজ তারাও করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সব জিনিসের দাম বেশি হওয়ায় এ ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। তবু বেঁচে থাকার তাগিদে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। প্রতি বছর কোরবানির ঈদের মৌসুমে ব্যস্ত সময় পার করেন তারা। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

কামারশিল্পী ফটিক চন্দ্র বলেন, ‘আমি দশ বছর ধরে বাবার সঙ্গে এই ব্যবসা করে আসছি, এখনো করছি। নেশায় বলেন আর পেশায় বলেন এই কাজ করে যেতে হবে। না করলে জীবন চলে না, এভাবেই চলে আমাদের জীবন। এখন আমাদের কাজ অনেক বেশি, কথা বলার সময় নেই।’

দা’য়ে ধার দিতে আসা আবু মুছা বলেন, ‘সকাল থেকে বসে আছি, এখনো আমার দায়ে ধার দেওয়া হয়নি। তারা এখন খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন।’

আবু মুছা আরও বলেন, ‘১ কেজি লোহার তৈরি চাপাতির দাম ৮০০ টাকা, বিদেশি চাপাতির দাম ২ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। এবার লোহার তৈরি অস্ত্রের দাম অনেক বেশি।’



আরো পড়ুন