২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



হিলিবন্দর দিয়ে কমেছে আমদানি-রপ্তানি

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ০৮ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৯:৩১ পিএম
হিলিবন্দর দিয়ে কমেছে আমদানি-রপ্তানি


দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কমেছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। গেলো কয়েক মাসের তুলনায় আমদানি নেমে এসেছে অর্ধেকে। ফলে আহরণ হচ্ছে না সরকারের বেঁধে দেওয়া রাজস্ব। চলতি ( ২০২২-২০২৩) অর্থ বছরের গত ৬ মাসে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ৮৭ কোটি ৪ লাখ টাকা। আমদানিকারকরা বলছেন, ডলার সংকটে এলসি না হওয়ায় পণ্য আমদানি কমেছে, সঙ্গে ব্যবসাও কমে গেছে। 

হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ( ২০২২-২০২৩) অর্থ বছরের গত ৬ মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ( এনবিআর) এর বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০০ কোটি ৬ লাখ টাকা। কিন্তু আদায় হয়েছে ২১৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। 

হিলিবন্দরের আমদানিকারক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‌‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন চাল, গম, ভুট্টা, পাথর, চিটাগুড়, গমের ভুসি, ভুট্টার বীজ, আদা, রসুন, মিক্সার মেশিনসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। কিন্তু গেলো কয়েক মাস ধরে ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো এলসি (ঋণপত্র) সীমিত করায় এই বন্দর দিয়ে আমদানি কমেছে। আমদানিকারকরা চাহিদামতো পণ্য আমদানি করতে পারছেন না।’ 

আমদানিকারক মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগে বাংলাদেশ থেকে পেঁয়াজের ফুলকা, সবজি, পোশাক কারখানার ঝুট কাপড়, পাটের তৈরি বস্তাসহ অনেক পণ্য রপ্তানি হতো। তবে বর্তমানে ডলারের সংকটের কারণে এসব পণ্য রপ্তানি বন্ধ আছে। এ ছাড়াও ভারত অভ্যন্তরে কাঁচা পণ্য রাখার মতো ব্যবস্থা না থাকায় রপ্তানিকারকরা এসব কাঁচা পণ্য রপ্তানি করতে পারছেন না।’ 

বন্দরের শ্রমিক মো. আরশাদ আলী বলেন, ‘আগের তুলনায় হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি অনেকটা কমে গেছে। আগের মতো আর মজুরি হচ্ছে না। কয়েক মাস আগে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা মজুরি পাওয়া গেলেও এখন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা মজুরি পাওয়া যাচ্ছে। ফলে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।’ 

হিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিয়ষক সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম সুইট বলেন, ‘ডলার সংকট তো বটেই। সেইসঙ্গে ভারত অংশের হিলি থেকে বালুরঘাট পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত না হওয়ার কারণে সময়মতো ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারছে না। এ কারণেও অনেক আমদানিকারক হিলি বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।’

পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন মল্লিক ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘গেলো কয়েকমাস আগেও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে আড়াইশ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতো। এখন তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। বর্তমানে প্রবেশ করছে ৫০ থেকে ১০০টি ট্রাক।’ 

ঢাকা বিজনেস/এম 



আরো পড়ুন