১৮ মে ২০২৪, শনিবার



হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ, তবে...

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ১২ মার্চ, ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম
হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ, তবে...


দিনাজপুরের হিলিতে ১ সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা।  ১০০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ)  বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। ক্রেতারা বলছেন, রমজান মাসে পেঁয়াজের দাম একটু কমেছে। তবে আরও কমলে ভালো হতো। ৫০ টাকার নিচে নামলে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আসতো। আর বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ একটু বেড়েছে। তাই দামও কমেছে। ১০০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দেশি পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে। 

মঙ্গলবার হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসেছেন মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম একটু কমেছে। তবে আরও একটু কমলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের জন্য ভালো হতো। গেলো মঙ্গলবার (৫ মার্চ) পেঁয়াজ কিনেছি ১০০ টাকা কেজি দরে। আজ কিনলাম ৮০ টাকা কেজি দরে। ৭০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজও বাজারে আছে। সেগুলো আকারে একটু ছোট। 

আরেক ক্রেতা মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহের চেয়ে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। তবে রমজান মাসে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকে। আর এই সময় কেন যেন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখে। বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়।’ 

জাকির হোসেন আরও বলেন, ‘এখন যদি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি চালু থাকতো, তাহলে নিশ্চয় পেঁয়াজের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে থাকতো। এরফলে ক্রেতারা এর সুফল ভোগ করতো। কিন্তু দেবে, দিচ্ছে বলে এখনো ভারত সরকার পেঁয়াজ দিচ্ছে না।’ 

হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. সাদ্দাম হোসেন  ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ একটু বেড়েছে। তাই  দাম কমে এসেছে। সরবরাহ আরও বাড়লে দাম আরও কমে আসবে। গত সপ্তাহে পাইকারি প্রতিকেজি পেঁয়াজ কৃষকদের কাছ থেকে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে মানভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। আজ পাইকারি মানভেদে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে কিনে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি।’ 

সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, ‘ভারত সরকার যদি পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করে, তাহলে পেঁয়াজের বাজার ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে নেমে আসতে পারে।’ 

/ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন