১৯ মে ২০২৪, রবিবার



লাইফ স্টাইল
প্রিন্ট

তীব্র গরমে সহজে ঘুমিয়ে পড়ার উপায়

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ০৫ মে, ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
তীব্র গরমে  সহজে ঘুমিয়ে পড়ার উপায়


সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পরিমিত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মন-মেজাজ ভালো রাখার সঙ্গে শরীর ও মনকে কার্যকর রাখতে ভালো ঘুম দরকার। তবে গরম যে হারে বাড়ছে, তাতে রাতে ভালোভাবে ঘুমানোটা বেশ কষ্টকর ব্যাপার। কিন্তু গরম এড়িয়ে কিভাবে সহজেই ঘুমিয়ে পড়া যায় সে বিষয়ে বেশ কয়েকটির উপায়ের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাজ্যের লাফবারাহ ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল স্লিপ রিসার্চ ইউনিটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক কেভিন মরগান এবং স্লিপ কাউন্সিলের লিসা আর্টিস এ বিষয়ে যেসব পরামর্শ দিয়েছেন তা তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা।

কোনো দিবানিদ্রা নয়

গরম আবহাওয়ায় দিনের বেলা এমনিতেই সব সময়ই কেমন যেন আলসেমি ভাব থাকে। এর কারণ হচ্ছে, দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ঠিক রাখতেই আমাদের বেশি শক্তি খরচ করতে হয়।

কিন্তু রাতের বেলা যদি ভালোভাবে ঘুম না হয় তাহলে দিনের বেলা একটু ঘুমিয়ে নেয়ার কথা ভাবা যাবে না। গরম আবহাওয়ায় বেশি সময় ধরে ঘুম হয় না। বরং ওই সময়টুকু রাতের জন্য রেখে দেয়াটাই ভালো।

সময়

গরমের কারণে প্রতিদিনের অভ্যাসে বদলের প্রবণতা তৈরি হতে পারে। তবে এটা করা যাবে না। কারণ দৈনন্দিন অভ্যাস বদলালে সেটি ঘুমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। সেজন্যই নিয়মিত সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে। আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে যে কাজগুলো আপনি করে অভ্যস্ত সেগুলো নিয়ম করেই করতে হবে।

শোয়ার ঘর ঠাণ্ডা রাখতে হবে

রাতে যাতে শোয়ার ঘরটি ঠাণ্ডা রাখতে ছোট-খাটো কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন, দিনের বেলা সূর্যের আলো সরাসরি যাতে ঘরে ঢুকতে না পারে তার জন্য পর্দাগুলো টেনে রাখা যেতে পারে। বাড়ির যে দিকটায় সবচেয়ে বেশি রোদ পড়ে, সেদিকের জানালা বন্ধ রাখা যেতে পারে। এতে করে বাইরে গরম বাতাস ঘরের ভেতর ঢুকতে পারবে না। এ ছাড়া ঘুমাতে যাওয়ার আগে জানালাগুলো খুলে দিতে হবে যাতে ঠাণ্ডা বাতাস ঘরে ঢুকতে পারে।

বিছানা

বিছানায় ঘুমানোর জিনিসপত্র যেমন অতিরিক্ত বালিশ, কাঁথা এগুলো যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। পাতলা সুতি কাপড় বিছানার চাদর হিসেবে ব্যবহার করলে তা শরীরের ঘাম দ্রুত শুষে নেয়।

পাখার ব্যবহার

গরম আবহাওয়ায় ছোট একটি পাখাও বেশ কাজে আসতে পারে। বিশেষ করে যখন ঘাম হয়। পাখার বাতাস ঘাম দ্রুত ঘাম শুকিয়ে যেতে সাহায্য করে। যা দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। যদি হাতের কাছে পাখা না থাকে তাহলে বিকল্প হিসেবে পানি গরম রাখার ব্যাগে গরম পানির পরিবর্তে ঠাণ্ডা পানি রেখে সেটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে কাজ করে ভেজা মোজা। যে মোজাটি পরবেন সেটি আগে থেকেই ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিয়ে তারপর পরুন। এতে আপনার ত্বক ও শরীরের তাপমাত্রা নিচে নেমে আসবে।

বেশি করে পানি পান করুন

সারাদিন ঘন ঘন পানি পান করুন। তবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একসঙ্গে বেশি পরিমাণে পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।

কোমল পানীয়ের বিষয়ে সতর্ক থাকুন

কিছু কিছু কোমল পানীয়তে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে। এতে মানুষের মূল স্নায়ুতন্ত্রে উদ্দীপনা সৃষ্টি করার কারণে ঘুম আসে না। তাই কোমল পানীয় পান করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। সেইসঙ্গে অতিমাত্রায় অ্যালকোহল পান করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।

 শান্ত থাকুন

ঘুম হচ্ছে না বলে উত্তেজিত হয়ে পড়লে ঘুম আরও দূরে চলে যাবে। এ ধরণের পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। বই পড়া, লেখা এমনকি মোজা ভাঁজ করার মতো কাজও এ সময়ে শান্ত থাকতে সহায়তা করতে পারে। তবে মোবাইল ফোন ব্যবহার বা ভিডিও গেম খেলা যাবে না। কারণ নীল আলো ঘুমের সহায়ক নয় এবং এ ধরণের কর্মকাণ্ড উত্তেজক হিসেবে কাজ করে।

ঘুম নিয়ে দুশ্চিন্তা বন্ধ করুন

ঘুম না হলে এটি নিয়ে দুশ্চিন্তা করে লাভ হবে না। মনে রাখতে হবে যে, পর পর এক-দুই রাত ঠিকভাবে ঘুম না হলেও বেশ ভালোভাবেই দৈনন্দিন কাজ করতে পারে মানুষ। এর কারণে দিনে দু-একবার হাই তুলতে হলেও তা আসলে স্বাস্থ্যের উপর তেমন প্রভাব ফেলে না।



আরো পড়ুন