২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার



যে কারণে এখনো ধানশূন্য হিলির খাদ্যগুদাম

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ০৫ মার্চ, ২০২৩, ০৫:০৩ পিএম
যে কারণে এখনো ধানশূন্য হিলির খাদ্যগুদাম


দিনাজপুরের হিলি সরকারি খাদ্য গুদামে নির্ধারিত সময়ে কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। সংগ্রহ অভিযানের সময়সীমা ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়িয়ে ৭ মার্চ পর্যন্ত  করা হয়ছে। এরমধ্যে ৫ মার্চ পর্যন্ত কোনো ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।  

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় উপজেলার পালপাড়া গ্রামের কৃষক বাবু হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের ৩ বিঘা জমিতে এবার আমন ধান করেছি। কিন্তু সরকারি দামের চেয়ে বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় নিজের খাবারের চালের জন্য ধান রেখে সব ধান বাজারে বিক্রি করে দিয়েছি।’ 

ইসবপুর গ্রামের কুষক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আমি নিজের জমির পাশাপাশি অন্যের কাছ থেকে আড়াই বিঘা জমি নিয়ে আমন ধান চাষ করি। ফলনও মোটামুটি ভালো হয়েছে।  বাজারে দাম বেশি পাওযায় বাজারেই বিক্রি করে দিয়েছি। এবার সরকারি খাদ্যগুদামে প্রতি কেজি ধানের দাম ছিল ২৮ টাকা কেজি। অর্থাৎ প্রমিমণ (৪০ কেজি) ধানের দাম পড়ে ১ হাজার ১ ২০ টাকা। আর কোনো ঝামেলা ছাড়াই বাজারে বিক্রি করেছি প্রতিকেজি ধান ৩০ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে।’

হিলি সরকারি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জোসেফ হাসদা ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘চলতি  মৌসুমে আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ টাকা কেজি দরে ৫৫৬ মেট্রিন টন। কিন্তু আজ রোববার (৫ মার্চ) পর্যন্ত কোনো ধান সংগ্রহ সম্ভব হয়নি। তাই বর্তমানে ধানশূন্য হয়ে আছে হিলি সরকারি খাদ্যগুদাম।  যদিও খাদ্য মন্ত্রণালয় ধান সংগ্রহের সময়মীমা বাড়িয়ে ৭ মার্চ করেছে। আজ ৫ মার্চ। আর মাত্র দুই দিনে সংগ্রহ করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।’ 

জোসেফ হাসদা আরও বলেন, ‘৪২ টাকা কেজি দরে ৫০০ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার চাল সংগ্রহের ৪৮০ মেট্রিক টন সংগ্রহ হয়েছে। আর মাত্র ২০ মেট্রিন টন বাকি আছে। আশা করছি, আগামী দুই দিনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।’ 

উল্লেখ্য,  ২০২২ সালের ১৭ মার্চ  চলতি মৌসুমের আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। যার শেষ সময়সীমা ছিল ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ৭ মার্চ করা হয়। 

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন