১৮ মে ২০২৪, শনিবার



তথ্যমন্ত্রী
প্রিন্ট

আমরা চাই বিএনপি 'টেরোরিস্ট' কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসুক: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ০৬:১১ পিএম
আমরা চাই বিএনপি 'টেরোরিস্ট' কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসুক: তথ্যমন্ত্রী


দেশের উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা খুবই প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপি টেরোরিস্ট কর্মকান্ড থেকে বেরিয়ে আসুক, সুস্থ রাজনীতির পথে হাঁটুক, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।’ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনের আগে সরকার পতনের ঘোষণা আগেও শুনেছি ও যতোবার এই ঘোষণা দেয় ততোবার তারা পালিয়ে যায় বা হারিয়ে যায়। যেমন ২৮ অক্টোবর ও এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ঘোষণা দিয়েছিলো। খালেদা জিয়া সমাবেশে যোগ দেবেন, সেটাও বলেছিলো। এই সমস্ত ঘোষণা আসলে তাদেরকে হাস্যকর করেছে। তারা এই সমস্ত ঘোষণা দিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে দেশের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। প্রকৃত অর্থে বিএনপি এখন তাদের কর্মাকন্ডের মাধ্যমে টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশনে রূপান্তরিত হয়েছে, তাদের লিডাররাও টেরোরিস্ট লিডারে পরিণত হয়েছে। 

সম্প্রচারনমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া কোনো দেশ উন্নত হতে পারেনি। আমরা সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দেই, সেখানে স্বাধীনতার পর থেকে একই দল রাষ্ট্র ক্ষমতায়। মালয়েশিয়ায় একনাগাড়ে ২২ বছর যদি মাহাথির মোহাম্মদ দেশ পরিচালনার দায়িত্বে না থাকতেন তাহলে মালয়েশিয়া সে রকম উন্নত হতে পারতো না।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে গত ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিলো সেটি আমরা বলতে পারি না। যেভাবে ২০১৩-১৪-১৫ সালে ও সময়ে সময়ে জ্বালাও-পোড়াও করা হয়েছে ও হচ্ছে, এগুলো দেশের ও রাজনীতির স্থিতিশীলতা সবকিছুই বিনষ্ট করছে। এ দেশে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি ও সবকিছুতে না বলার নেতিবাচক রাজনীতি দেশের উন্নয়নের জন্য প্রচন্ড অন্তরায়। ভারতে বহুধাবিভক্ত রাজনীতি ও কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে অহি-নকুল সম্পর্ক কিন্তু দেশের প্রয়োজনে তারা এক টেবিলে বসে এবং সরকারকে সমর্থন জানায়।’ 

হাছান বলেন, ‘নিজেদের স্বার্থের জন্য মানুষ, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো কেন? সাধারণ মানুষ তো কোনো দোষ করেনি। আর দিনের পর দিন অবরোধ ডেকে যেভাবে বাচ্চাদেরকে স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে, মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে, তারপরও মানুষ কিছুই মানছে না। অবরোধের মধ্যে ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গা ট্রাফিক জ্যাম হচ্ছে এবং দুরপাল্লার গাড়িও চলছে। এ সমস্ত কর্মসূচি কেউ মানছে না, তাদেরকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বলছে, তোমাদের কিসের অবরোধ আমরা মানি না। এরপরও বিএনপির লজ্জা হয় না। আসলে যাদের লজ্জা হারিয়ে গেছে তাদের লজ্জা লাগার কোনো কারণ নাই। বিএনপির লজ্জাও হারিয়ে গেছে।’

ঢাকা বিজনেস/এমএ/



আরো পড়ুন