১৯ মে ২০২৪, রবিবার



ক্যাম্পাস
প্রিন্ট

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে জাবিকর্মচারীদের আমরণ অনশন

জাবি সংবাদদাতা || ০৩ জানুয়ারী, ২০২৩, ১২:৩১ এএম
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে জাবিকর্মচারীদের আমরণ অনশন


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীরা। চাকরি স্থায়ী করার আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।

সোমবার (২ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তারা। সন্ধ্যা ৬টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করছেন।

এদিকে অনশন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো কর্তাব্যক্তি তাদের সঙ্গে দেখা করতে যাননি বলে জানিয়েছেন অনশনকারীরা। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ছয়টি আবাসিক হল পরিদর্শনে গিয়ে দুপুর ১টার দিকে অনশনরত কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম। এ সময় তিনি আন্দোলনকারীদের বক্তব্য শোনেন এবং তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে দিল আফরোজা বেগম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন আবাসিক হলগুলোতে আন্দোলনকারীদের চাকরি দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সুপারিশ করেছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির সাতজন ও চতুর্থ শ্রেণির ১৪৯ জন কর্মচারী ‘দৈনিক মজুরি’ ভিত্তিতে কর্মরত আছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন না থাকায় তাঁদের নিয়োগ স্থায়ী করা সম্ভব হচ্ছে না।

অনশনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহানারা ইমাম হলের পিয়ন নাসরিন আক্তার বলেন, ‘আমরা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছি। বিভিন্ন সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও ইউজিসি'র দোহাই দিয়ে আমাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়নি। এখন আমাদের পক্ষে আর ধৈর্য ধরা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে অনশনে বসেছি।’

শেখ হাসিনা হলের মালি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ ১১ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেবা দিয়ে মাসে মাত্র ১২ হাজার টাকা বেতন পাই। এই টাকা দিয়ে সংসার চলে না। এছাড়া আমাদের সন্তানেরাও পোষ্য কোটার সুবিধা পাচ্ছে না। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে।’

অনশনরতদের বিষয়ে দিল আফরোজা বেগমের সুপারিশ মোতাবেক কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নূরুল আলম। তিনি বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে তারা মূলত চতুর্থ শ্রেণীর অস্থায়ী কর্মচারী। নতুন হলগুলোতে তারা আবেদন করলে আমরা সর্বোচ্চ বিবেচনা করবো।’

উজ্জল/এম



আরো পড়ুন