১৮ মে ২০২৪, শনিবার



যে কারণে হিলিতে ধান পাচ্ছে না সরকারি গুদাম

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ৩০ নভেম্বর, ২০২৩, ০১:১১ পিএম
যে কারণে হিলিতে ধান পাচ্ছে না সরকারি গুদাম


চলতি আমন মৌসুমে  দিনাজপুরের হিলির সরকারি খাদ্যগুদামে দান দিচ্ছেন স্থানীয় কৃষকেরা। গুদাম কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্রয়-কার্যক্রম উদ্বোধনের পর এক সপ্তাহে পার হয়েছে। অথচ গত সাতদিনে  কোনো কৃষক ধান নিয়ে খাদ্যগুদামে আসেননি। আর কৃষকেরা বলছেন, বাজারমূল্য ও  সরকারি মূল্য প্রায় সমান। তাই তারা সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) স্থানীয় কৃষক ও খাদ্যগুদামের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। 

পালপাড়া গ্রামের কৃষক বাবু হোসেন বলেন, ‘আমি নিজের ৩ বিঘা জমিতে গুটিস্বর্ণা জাতের ধান চাষ করেছি। ফলন ভালো। ধান কাটা-মাড়াই করাও শেষ। এখন বিক্রি করবো। ধান ব্যবসায়ীরা বাড়িতে এসে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১২০ টাকা মণ দাম করছেন। তারা বাড়ি থেকে ধান নিয়ে যাবেন। আর সরকারি খাদ্যগুদামে ১ হাজার ২০০ টাকা মন। তাই ধান ব্যবসায়ীদের কাছেই ধান বিক্রি করবো।’

কারণ হিসেবে বাবু হোসেন বলেন, ‘সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে গেলে আদ্রতা মেপে দিতে হবে। তার সঙ্গে আছে পরিবহণসহ লেবার খরচ। আর ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করলে কোনো ঝামেলা ছাড়াই বিক্রি করতে পারি।’ 

ইছবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘বাজারে ধান বিক্রি করলে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। ধান ব্যবসায়ীরাই বাড়ি থেকে ধান তুলে নিয়ে যান। টাকা নগদ পাওয়া যায়। সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে গেলে কৃষি অফিসের কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা তুলতে হয়। তার চেয়ে নগদ টাকায় ধান ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করাই ভালো।’ 

হিলি সরকারি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত মো. খলিলুর রহমান ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘গত ২৩ নভেম্বর হিলি খাদ্যগুদামে চলতি আমন মৌসুমে ধান-চাল ক্রয়ের উদ্বোধন করা হয়। ৩০ টাকা কেজি (১ হাজার ২০০ টাকা মন) ৪০ কেজি দরে ৩০৪ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে।’ 

খলিলুর রহমান বলেন, ‘উদ্বোধনের দিন একজন কৃষকের কাছ থেকে ১ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। এরপর গেলো ৭ দিনে আর কোনো কৃষক ধান নিয়ে আসেননি।’

ঢাকা বিজনেস/এনই




আরো পড়ুন