১৮ মে ২০২৪, শনিবার



রোজা না আসতেই অস্থির মাংসের বাজার

আজহার উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া || ২৩ মার্চ, ২০২৩, ১০:০৩ এএম
রোজা না আসতেই অস্থির মাংসের বাজার


রমজান মাস আসার আগেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে গরু, খাসি ও মুরগীর মাংসের দাম। তবে দেশি, সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির দাম গত দুই সপ্তাহ ধরেই বেশি। ক্রেতারা বলছেন, রমজানের শুরুতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়, তাই এবার মাংস বিক্রেতারা রমজানের আগেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ব্যবসায়ীদের দাবি, বেশি দামে গরু, খাসি, মুরগি কেনার কারণে বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের আনন্দবাজার, মেড্ডাবাজার, ফারুকি বাজার, বর্ডারবাজার ও কাউতলী বাজার  ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। আর খাসির মাংসের দর প্রতি কেজি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, ফার্মের মুরগি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, সোনালি জাতের ককমুরগি ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বর্ডার বাজারের মাংস বিক্রেতা ঈমাম হোসেন বলেন, ‘শবে বরাতের আগে ৭০০ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি করেছি, গরুর দাম বেড়েছে তাই ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছি।’

মেড্ডাবাজারের বিসমিল্লাহ মাংসের দোকানের মালিক বুট্টু মিয়া জানান, ক্রেতা কম, গরুর দাম বেশি হওয়ায় বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে।

মুরগি বিক্রেতা নুর নবী বলেন, ‘গ্রামে গ্রামে ঘুরে পেরেশান হয়ে গেছি তবুও দেশি মুরগি পাওয়া যায় না। এছাড়া সোনালি ও ব্রয়লার মুরগি আমাদের পাইকারদের কাছ থেকে কিনতে হচ্ছে বেশি দামে তাই আমাদের কিছু করার নেই। একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।’   

আনন্দবাজারের খাসির মাংস বিক্রেতা মাসুদুর রহমান জানান, খাসি, ছাগল ও ভেড়া বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।

ফারুকি বাজারে মুরগি কিনতে আসা কাজল আক্তার বলেন, ‘রমজান সামনে থাকায় প্রত্যেক জিনিসের দাম বেড়েছে। তবে মুরগি ও মাংসের দাম বেশি বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় আজ (বুধবার) সব মুরগির দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৮০ টাকা বেড়েছে।’

আনন্দবাজারে গরুর মাংস কিনতে আসা সাংবাদিক বাহাদুর বলেন, ‘গত সপ্তাহে গরুর মাংস নিয়েছি ৭০০ টাকা কেজি, এখন এসে দেখি ৮০০ টাকা কেজি। দুইকেজি নিতে এসেছিলাম, বাধ্য হয়ে ১ কেজি নিলাম।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হোসেন মিয়া জানান, গরুর দাম বেড়ে গেছে, যে কারণে মাংস বেশি দামে বিক্রি করতেছি। তারপরও লোকসান হচ্ছে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, ‘সম্প্রতি ব্যবসায়ীকদের সঙ্গে মিটিং করেছি। প্রতিটি বাজারই মনিটরিং করা হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন