২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার



জানা-অজানা
প্রিন্ট

যে কারণে জাপানে স্বামী-স্ত্রী আলাদা বিছানায় ঘুমায়

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ১২:০২ পিএম
যে কারণে জাপানে স্বামী-স্ত্রী আলাদা বিছানায় ঘুমায়


ঢাকা বিজনেস
স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ঘুমাবে; এটাই যেন চিরায়ত নিয়ম। কিন্তু জাপানি দম্পতিরা স্রোতের বিপরীত। জাপানে বিবাহিত দম্পতি আলাদা বিছানায় ঘুমায়। তবে, কোনো প্রকার দাম্পত্য কলহের কারণে নয়, তারা বিশ্বাস করে যে, এটি তাদের পক্ষে ভালো।

ব্রাইট সাইড নামক একটি সংস্থার পক্ষ থেকে জাপানের বিবাহিত দম্পতিরা কেন আলাদাভাবে ঘুমোতে পছন্দ করে তা নিয়ে তারা একটি গবেষণা করেছিল। গবেষণায় জাপানি দম্পতির আলাদা ঘুমানোর অনেকগুলো কারণ উঠে এসেছে। 

তাদের ঘুমের সময়সূচি আলাদা
প্রথমত, ভিন্ন কাজের সময়সূচি। জাপানিরা অনেক কর্মঠ। হয়তো স্বামী-স্ত্রীকে খুব ভোরে কাজে যেতে হবে অথবা অনেক রাতে ফিরতে হবে। এতে যেকোনো একজনের অপূর্ণ ঘুম হতে পারে। পাশের জনের তার যেন ঘুমের কোনো ব্যাঘাত না ঘটে, সে বিষয়টি তারা খেয়াল রাখে। তাই তারা আলাদা ঘরে ঘুমায়। এতে উভয়েই একটি নিরবচ্ছিন্ন ও স্বাস্থ্যকর ঘুম দিতে পারে।

বাচ্চারা মায়ের সঙ্গে ঘুমায়
মায়ের সঙ্গে শিশুর ঘুম খুব ভালো হয়, এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। বাচ্চাকে একটি স্থিতিশীল তাপমাত্রা ও হার্ট রেট বজায় রাখতে সহায়তা করে। একইসঙ্গে এটি হঠাৎ শিশুমৃত্যুর সিনড্রোমের আশঙ্কা কমায়। এছাড়া, এটি শিশুর আরও ভালো আত্মসম্মান অর্জন, দ্রুত স্বাধীন হয়ে ওঠা ও পড়াশোনায় ভালো  ফলের ক্ষেত্রে অবদান রাখে।

জাপানি মায়েরা তাদের বাচ্চাদের সঙ্গে ঘুমান। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয় ওই দেশে। তাই একই বিছানা ভাগ করতে চান বা অন্য কোনও ঘরে যেতে চান কি না, তা সিদ্ধান্ত নিতে হয় বাবাকেই। 

তাদের কাছে আলাদাভাবে ঘুমানো মানে শান্তি
আমাদের দেশে দম্পতির আলাদা ঘুমাতে দেখলেই ভাবা হয়, তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি রয়েছে। তবে, জাপানিরা এটিকে অন্যভাবে দেখে। তারা তাদের ঘুমকে অনেক মূল্য দেয়। ঘুমের সময় তারা কোনো ঝামেলা চায় না। অর্থাৎ, তারা চায় না সঙ্গীর নাক ডাকা, এলোমেলো শোয়ার ভঙ্গি, হাত-পা ছোড়া, অস্থিরতা অন্যজনের ঘুমের বিঘ্ন ঘটাক। তাই তারা আলাদা বিছানায় ঘুমানোকেই ভালো মনে করে। 

দম্পতির আলাদা করে ঘুমানোর ইতিহাস
জাপানি সিনেমা বা সিরিজগুলোতে দেখা যায়, তাদের খাট-বিছানা-বালিশ ছোট। আর এতেই বোঝা যায়, তাদের একা একা ঘুমানোর ইতিহাস অনেক পুরনো। এখনো এমন পরিবার রয়েছে, যারা এই ধরনের বিছানাপত্র ব্যবহার করে। আর এর অন্যতম কারণ, এটি খুব কম জায়গা নেয়। ঘরে রাখাও সহজ।   ইন্টারনেট অবলম্বনে

ঢাকা বিজনেস/এন/



আরো পড়ুন