২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



যে কারণে বিপাকে পেঁয়াজ আমদানিকারক

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ১৬ মে, ২০২৪, ১১:০৫ এএম
যে কারণে বিপাকে পেঁয়াজ আমদানিকারক


সাড়ে ৫ মাস পর ভারত থেকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে বিপাকে পড়েছেন এক আমদানিকারক। তিনি জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ আর দেশি পেঁয়াজের দাম সমান। এ কারণে গত দুই দিনেও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়নি।  বন্দর থেকে খালাস করে নিজের গুদামে গুদামজাত করে রেখেছেন তিনি। পচনশীল পণ্য হওয়ায় নিয়মিত ফ্যানের বাতাস দিতে হচ্ছে পেঁয়াজে। আর হিলি বাজারের দেশি পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলছেন, দেশি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।  ভারতীয় পেঁয়াজও ওই দামেই বিক্রি করতে হবে।  ক্রেতারা একই দামে ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে চান না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) হিলিবাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. মোকারম হোসেন বলেন, ‘আমরা দেশি পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে কিনছি। আর ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৪ টাকা কেজি যাচ্ছে। সেই পেঁয়াজও ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হবে। কিন্তু ক্রেতারা একই দামে ভারতীয় পেঁয়াজ কিনবেন না। তাই আমরা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি।’

পেঁয়াজ আমদানিকারক মেসার্স আরএসবি এন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি আহম্মেদ সরকার ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘সম্প্রতি বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা মঙ্গলবার (১৪ মে) ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করি। কিন্তু ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম পড়েছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা । এরসঙ্গে আছে বাংলাদেশ সরকারের শুল্ক, পরিবহন খরচ, লেবার খরচসহ অন্যান্য খরচ। সবমিলিয়ে ৬০ টাকা কেজি পড়ে গেছে।’

আহম্মেদ সরকার আরও বলেন, ‘প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি না করলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। তাই আমদানির ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ গুদামজাত করে রেখেছি। পচনশীল পণ্য হওয়ায় নিয়মিত ফ্যানের বাতাস দিতে হচ্ছে।’ 

উল্লেখ্য, সাড়ে ৫ মাস বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (১৪ মে) একটি ট্রাকে ভারত থেকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে মেসার্স আরএসবি এন্টার প্রাইজ। 

ঢাকা বিজনেস/এনই/ 



আরো পড়ুন