২৬ জুন ২০২৪, বুধবার
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন পাথর আমদানিকারকেরা। বন্দরের ভেতরে বিক্রির অপেক্ষায় পড়ে আছে কয়েক হাজার মেট্রিক টন পাথর। দাম কমিয়ে দেওয়ার পরও ক্রেতা নেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে প্রতিদিন ভারত থেকে ৮০ থেকে ১০০ ট্রাক পাথর আমদানি হতো। বিক্রি কমে যাওয়ায় এখন আমদানি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ ট্রাক পাথর।
হিলিবন্দরের পাথর আমদানিকারক মো. সাকোয়াত হোসেন বলেন, ‘এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্যর পাশাপাশি আমদানি হয়ে থাকে পাথর। দেশের মেগ্রা প্রকল্প থেকে শুরু করে সরকারি বেসরকারি কাজ যেমন রাস্তাঘাট, কালর্ভাট, বিল্ডিংসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত পাথর এই বন্দর দিয়ে আনা হয়। বর্তমানে ক্রেতাসংকট ও এলসি জটিলতায় থমকে আছে পাথর বিক্রি। বন্দরে পড়ে আছে কয়েক হাজার মেট্রিক টন পাথর।’
আমদানিকারক মো. আমিনুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘পাথর বিক্রি না হওয়ায় আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একমাস আগে ৩-৪ সাইজের পাথর বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা মেট্রিক টন দরে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা মেট্রিক টন দরে। তারপরও ক্রেতা নেই। স্বল্প পরিসরে চলছে পাথর বিক্রি। এতে বন্দরের ভেতরে জায়গা স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এরফলে অন্য পণ্য খালাস করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি মো. হারুন-উর-রশিদ বলেন, ‘দেশের কিছু কিছু মেগাপ্রকল্প বন্ধ থাকায় হিলিতে পাথর বিক্রি অনেকটাই কমেছে। আবার অনেক আমদানিকারক নগদ টাকায় পাথর আমদানি করে বাকিতে বিক্রি করেছেন। তারাও সময়মতো টাকা পাচ্ছেন না। এছাড়া, ডলার সংকটের কারণে এলসিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এরপরও কোনো কোনো আমদানিকারক আগের এলসির পাথর আমদানি করে বন্দরে মজুদ করে রেখেছেন। প্রতিটনে ৪০০ থেকে ৫০০ দাম কমিয়ে দিয়েও ক্রেতা মিলছে না। এমন চললে অনেক লোকসান গুনতে হবে।’
পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিডেটের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হিলিবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর আমদানি অব্যাহত আছে। তবে আগের চেয়ে কমেছে। একমাস আগেও যেখানে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০ ট্রাক পাথর আমদানি হতো, এখন ২০ থেকে ৩০ ট্রাক আমদানি হচ্ছে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/
