১৮ মে ২০২৪, শনিবার



হিলিতে জমে উঠেছে আলুর বাজার

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ২০ মার্চ, ২০২৩, ১০:০৩ এএম
হিলিতে জমে উঠেছে আলুর বাজার


দিনাজপুরের হিলিতে জমে উঠেছে আলুর বাজার। সপ্তাহে রোববার ও বৃহস্পতিবার হিলি খাদ্যগুদাম মোড়ে এই আলুর হাট বসে। পার্শ্ববর্তী পাঁচবিবি, বিরামপুর, কালাই, ক্ষেতলাল উপজেলার কৃষকেরা ভটভটি, অটো, ভ্যানযোগে বিক্রির জন্য আলু নিয়ে আসেন হিলির হিলির হাটে। 

কৃষকেরা বলছেন, সামনে রোজা। এই মাসে খরচ বাড়ে। নতুন আলু ওঠার পর ভবিষতের জন্য কিছু রেখে দেন তারা। রোজায় খরচ করার জন্য জমিয়ে রাখা আলু বিক্রি করছেন তারা। দামও নতুন আলুর চেয়ে এখন একটু বেশি। ওই সময় ৪০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করলেও এখন ৭০০ থেকে সাড়ে সাতশ টাকায় বিক্রি করছেন। 

রোববার ( ১৯ মার্চ) হিলির পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি করতে এসেছেন কালাই উপজেলার মো.  আবুল কাশেম। তিনি ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমি ৩ বিঘা জমিতে আলু চাষ করি। ফলনও ভালো হয়।  নতুন আলু তোলার  পর  ৪০০ থেকে সাড়ে চারশ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আর রোজার মাস ও ঈদের খরচের জন্য কিছু  রেখে দিয়েছি। সেই আলুগুলো এখন বিক্রি করছি। দামও মোটামুটি ভালো পাচ্ছি। প্রকারভেদে ৭০০ থেকে সাড়ে সাতশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।’

হিলি বাজারের খুচরা আলু বিক্রেতা মো. মোকারম হোসেন বলেন, ‘এই উপজেলায় যে পরিমাণ আলু চাষ হয়, তাতে স্থানীয় চাহিদা পূরণ হয় না। তাই অন্য জায়গা থেকে আলু কিনে এনে বিক্রি করি। বর্তমানের ওইসব এলাকার কৃষকেরাই হিলিতে আলু এনে পাইকারি বিক্রি করছেন। এতে আমাদের পরিবহন খরচ কম পড়ছে।’ 

আরেক খুচরা আলু বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রতি মণ (দেশি আলু) প্রকারভেদে ৭০০ থেকে সাড়ে সাতশ টাকায় কিনছি। আর ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। কৃষকেরা হিলিতে আলু এনে বিক্রি করায় আমাদের আর বাইরে গিয়ে কিনে আনতে হচ্ছে না।  এতে পরিবহন খরচ ও সময় দুটোয়  বেঁচে যাচ্ছে।’

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হাকিমপুর উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ৩ ইউনিয়নে চলতি রবি মৌসুমে ১ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে।  হাকিমপুর ছোট উপজেলা। এই উপজেলায় তুলনামূলক আলুর চাষ কম হয়। তাতে স্থানীয় চাহিদা পূরণ হয় না। তাই আলু-বিক্রেতরা অন্য উপজেলা থেকে আলু এনে এখানে বিক্রি করেন।  

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন