১৯ মে ২০২৪, রবিবার



বেড়েছে গরম, বেড়েছে ডাব-স্যালাইনের চাহিদা

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ২২ এপ্রিল, ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম
বেড়েছে গরম, বেড়েছে ডাব-স্যালাইনের চাহিদা


দিনাজপুর জেলায় চলছে প্রচণ্ড তাপদাহ। গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন। গরমে পিপাসা মেটাতে মানুষ পান করছেন স্যালাইন, শরবত, ডাবের পানি, আইসক্রিম ও আখের রস। এসব পানীয় পান করে পিপাসা নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। অনেকে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি পান করেও শরীর ঠাণ্ডার রাখার চেষ্টা করছেন। সাধারণ মানুষেরা বলছেন, এ জাতীয় খাবার খেলে শরীর কিছু সময় ঠাণ্ডা থাকে। আর বিক্রেতারা বলছেন, তাপদাহের কারণে স্যালাইন, শরবত, ডাব, আইসক্রিম বিক্রি বড়েছে। তবে চিকিৎসকরা এই গরমে পানি ও পানীয় জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন।  

সোমবার (২২ এপ্রিল) হিলিতে ওরস্যালাইন কিনতে এসেছেন হোসেন। তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড গরম। সহ্য করা যাচ্ছে না। ফ্যানের বাতাসেও কাজ হচ্ছে না। তাই পরিবারের সবার জন্য স্যালাইন কিনতে এসেছি। এক প্যাকেট ওর স্যালাইন কিনলাম। যা পরিবারের সবাই খেতে পারবে।’ 

ওষুধের দোকানদান  মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে স্যালাইনের চাহিদা বেড়েছে। আগে শুধু মানুষ ডায়রিয়া বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দিলে স্যালাইন কিনতো। এখন গরমের কারণে স্যালাইন বেশি বিক্রি হচ্ছে। আমরা প্রতিপিস স্যালাইন ৬ টাকা করে বিক্রি করি। তবে কোনো ক্রেতা বেশি স্যালাইন নিলে ৫ টাকা দরে বিক্রি করি।’ 

শরবতের দোকানে কথা হয়, মো. জমির আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আর গরম সহ্য করতে পারছি না। শরীর জ্বলে যাচ্ছে। তাই শরবত খেতে এসেছি।  শরবত খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে।’ 

শরবত বিক্রেতারা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নিয়মিত শরবত বিক্রি করি। প্রতিদিন ভালোই বিক্রি হয়। তবে কয়েকদিন ধরে গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শরবতের চাহিদা বেড়েছে। আগে যেখানে ৫০ গ্লাস শরবত বিক্রি হতো, সেখানে এখন ১০০ থেকে ১২০ গ্লাস শরবত বিক্রি হচ্ছে। দাম আগের মতো নিচ্ছি।’ তিনি  আরও বলেন, ‘অ্যালোবেরা, ইসবগুলোর ভুসি, তোকমাদানাসহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে শরবত তৈরি করি। যা খেলে শরীর ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি  প্রস্রাবের জ্বালাপো[ড়া কমায়।’ 

ডাব কিনতে আসা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ডাবের চাহিদা সঙ্গে দামও বেড়েছে। ১০০ টাকা পিস দরের ডাব এখন ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।’ 

ডাব বিক্রেতারা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ডাব পাওয়া যাচ্ছে না। কিনতেই ১০০ থেকে ১১০ টাকা পিস পড়ছে। তাই ১২০ টাকা পিস দরে বিক্রি করছি।’ 

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইলতুতমিশ আকন্দ ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘এই গরমে সবাইকে যে-কোনো পানীয় জাতীয় খাবারের পাশাপাশি রোদে বের না হতে বলবো।’ ডায়রিয়া বা অন্যকোনো সমস্যা দেখা দিয়ে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। 

/ঢাকা বিজনেস/এনই



আরো পড়ুন