১৭ জুন ২০২৪, সোমবার



সৈকতে পর্যটকের মিলন মেলা

তাফহীমুল আনাম, কক্সবাজার || ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৩:৩২ এএম
সৈকতে পর্যটকের মিলন মেলা


শীতের শেষে সৈকতে পর্যটকের ভিড় জমেছে। কেউ গোসল করে আবার কেউ ওয়াটার বাইকে চড়ে উপভোগ করছেন। প্রিয়জনের হাত ধরেও হাঁটছেন অনেকে। শিশুরা মেতে উঠেছেন আনন্দে। ছবি তোলা থেকে শুরু করে নানাভাবে উপভোগ করছেন সবাই। লাখো পর্যটকের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে কক্সবাজার সৈকত। তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছেন স্থানীয়রাও। 

 শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট গিয়ে দেখা যায়, শুক্র-শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস বন্ধ থাকায় সৈকতে পর্যটকের ভিড়। সমুদ্রের নোনা জলে স্নান করছেন হাজারো মানুষ। পুরো সৈকতে পর্যটকরা খুঁজে পেয়েছেন যেন স্বর্গীয় সুখ। একই অবস্থা সুগন্ধা ও কলাতলী বিচে, সেখানেও পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। 

পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসকের বিচ কর্মীরা। বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা এসেছেন কক্সবাজারের বিভিন্ন স্পটে। এই ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের ভালো সাড়া পেয়েছেন হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা।

হোটেল মালিকরা জানান, শুক্র-শরিবার সাপ্তাহিক ছুটি। তাই অধিকাংশ হোটেল পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। কক্ষ পেতে ব্যাগপত্র নিয়ে এক হোটেল থেকে অন্য হোটেলে ছোটাছুটি করতেও দেখা যায় বেশকিছু পর্যটককে।

এদিকে, সৈকতের লাবণী পয়েন্টে হাজারো পর্যটককে ভিড় করতে দেখা গেছে। কেউ বালিয়াড়িতে দৌঁড়ঝাপ, কেউ সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত। পর্যটকরা যে যার মতো করে আনন্দে মেতেছেন। পর্যটন মৌসুমে বিনোদন প্রেমীদের চাপ বাড়ায় প্রতিটি স্পটে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য ও লাইফগার্ড কর্মীরা। শুধু কক্সবাজার সৈকত নয়, পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, পাথুরে সৈকত ইনানী, হিমছড়ি ও রামু বৌদ্ধ মন্দির, মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরেও।

বরিশালের থেকে আসা পর্যটক মদিনা আহমেদ অপ্সরী বলেন, পরিবার-পরিজন নিয়ে সৈকতের পাড়ে এসেছি সাগরের এই বিশালতা দেখেতে। আর আকাশটা পানির সঙ্গে যেন মিশেই আছে। এটাই সৈকতের মুগ্ধতা। আর মুক্ত হাওয়া ও সামুদ্রিক মাছ অসাধারণ। খুবই ভালো লেগেছে।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস, রেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, শুক্রবারে কক্সবাজারে পর্যটকের চাপ একটু বেশিই থাকে। আজকে কক্সবাজারে লক্ষাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন। তবে রোববার থেকে সেই সংখ্যা অনেকটা কমে যাবে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান বলেন, ছুটির দিনে কক্সবাজারে পর্যটকের চাপ একটু বেশি হয়। পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক টিম।

কক্সবাজার পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সবসময় মাঠে আছি। খাবার থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন