ঈদুল আজহার দিন (১৭ জুন) বিকেলে দিনাজপুরের হিলি রেলস্টেশন ও জিরো পয়েন্টে দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভির দেখা গেছে। কেউ এসেছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে সিএনজি নিয়ে, কেউ এসেছেন অটোবাইক নিয়ে। তবে বাইক নিয়ে আসা দর্শনার্থীদের সংখ্যা ছিল বেশি।
দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের মধ্যে কেউ চাকরিজীবী, কেউ স্থানীয়। লম্বা ছুটিতে বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে এসে ঘোরাঘুরি করছেন।
স্ত্রীসহ বাইক নিয়ে ঘুরতে এসেছেন মো. আবু সাঈদ। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি ঘোড়াঘাটে। ঢাকায় চাকরি করি। অল্প কিছুদিন আগে বিয়ে করেছি। তাই স্ত্রীকে নিয়ে হিলিতে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে হিলি ঘুরে দেখছি। হিলি রেলস্টেশন, জিরো পয়েন্ট ঘুরে দেখলাম। বেশ ভালো লাগলো।’
আরেকজন এসেছেন বিরামপুর থেকে পরিবার নিয়ে অটোবাইক যোগে। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে কোরবানির পশু জবাই করা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। সকালে আসার সুযোগ হয়নি। তাই বিকেলে বেরিয়েছি পরিবার নিয়ে। বিরামপুরের একটি পিকনিক স্পর্ট দেখে হিলি সীমান্ত দেখতে এসেছি। এখন সন্ধ্যা হয়েছে। বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’
বাইক নিয়ে আসা স্থানীয় কয়েকজন যুবক বলেন, রোজার ঈদের দিন কোনো কাজ থাকে না। ঈদের নামাজ আদায় করার পর সারাদিন বন্ধুবান্ধন নিয়ে ঘোরাঘুরি করি। তবে ঈদুল আজহায় সেই সুযোগ হয় না। সকালে নামাজ আদায় করার পর কোরবানির পশু জবাই, গোস্ত কাটা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই বিকেলে বন্ধুদের নিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরছি। বন্ধুরা বিভিন্ন জায়গা লেখ-পড়া করে। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছে। এই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি। তাই বিকেলে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. বাবু হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর রোজার ঈদ ও কোরবানির ঈদের দিন হিলিতে স্থানীয়সহ বাইরের মানুষের ব্যাপক সমাগম ঘটে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তারা হিলির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরে যান।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/