পোল্ট্রি মুরগির দাম স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৮টি সুপারিশও তুলে ধরেছে অধিদপ্তর। রোববার (১৯ মার্চ) ভোক্তা অধিকারের দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব সুপারিশ করা হয়।
অধিদপ্তর বলেছে, উৎপাদন পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির ব্যয় করপোরেট পর্যায়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। অথচ খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
পোল্ট্রি মুরগির দাম কমাতে ভোক্তা অধিদফতরের সুপারিশ-
১. পোল্ট্রি মুরগির যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে কোনো প্রকার অনিয়ম বা মনোপলি হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনকে অনুরোধ করতে হবে।
২. বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে পোল্ট্রি মুরগির যৌক্তিক মূল্যের বিষয়ে গবেষণামূলক প্রতিবেদন প্রদানের অনুরোধ করতে হবে।
৩. প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে পোল্ট্রি মুরগির মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।
৪. পোল্ট্রি ফিড ও মুরগির বাজারে অত্যধিক মূল্য বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫. কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী যেন অযৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে সমগ্র দেশে বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে সে লক্ষ্যে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি বাড়াতে হবে।
৬. বিভিন্ন বাজার কমিটি কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন নিশ্চিত করতে হবে। যেসব বাজারে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা হবে না, সেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এফবিসিসিআই বাজার কমিটিকে বিলুপ্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৭. অযৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে বাজার অস্থিতিশীল করার প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৮. রমজানে পোল্ট্রির বাজার স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তর, সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে দেশব্যাপী নিবিড়ভাবে বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা জোরদার করতে হবে।
ঢাকা বিজনেস/এম