১৯ মে ২০২৪, রবিবার



মোংলা-খুলনা রেললাইন স্থাপনে সময় বাড়ানোর আবেদন

জামাল হোসেন বাপ্পা, বাগেরহাট || ২৫ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৩:৩১ এএম
মোংলা-খুলনা রেললাইন স্থাপনে সময় বাড়ানোর আবেদন


মোংলা বন্দরসহ দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের অন্যতম মেগাপ্রকল্প মোংলা-খুলনা রেললাইন প্রকল্পের কাজ  দ্রুত গতিতে এগিয়ে চললেও কিছু অংশের কাজ বাকি থাকায় পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করতে আরও ছয় মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। এ কারণে নিদির্ষ্ট সময়ের থেকে পিছিয়ে গেলো খুলনা-মোংলা রেল লাইনে ট্রেন চলাচল। 

নির্মানাধীণ খুলনা-মোংলা রেল লাইনের প্রকল্প কর্মকতা (পিডি) মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ‌‘ইতোমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। যা ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে এটি প্ল্যানিং কমিশনে রয়েছে। এরপর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন হওয়ার পর মোংলা-খুলনা রেললাইন প্রকল্পের বাকি কাজ শুরু করা হবে। আশা করা যায়, এ বছরের জুনের মধ্যেই এ প্রকল্পের ভৌত কাজ শেষ হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট থেকে এ অঞ্চলের মানুষের বহু প্রত্যাশিত রেললাইনের ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে। শুরু থেকেই প্রকল্পটি নানা ধরনের বাধার মুখে পড়ে। এ কারণে সময় বেশি লাগছে। তবে এবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও অর্থ বাড়ানো হচ্ছে না।’ 

খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহম্মদ হোসেন মাসুম বলেন, ‘প্রকল্পের প্রধান কাজ ছিল ৭৭৬ দশমিক ৬৭ একর ভূমি অধিগ্রহণ, খুলনা থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার মেইন লাইন নির্মাণ, ২১ দশমিক ১১ কিলোমিটার লুপ লাইন, ৮টি রেলওয়ে স্টেশন তৈরি, ৩১টি ছোট বড় সেতু নির্মাণ, ১১২টি কালভার্ট, রুপসা নদীর ওপর ৭১৬ দশমিক ৮০ মিটার সেতু নির্মাণ, রুপসা সেতুর দুই প্রান্তে ভায়াডাক্ট (উড়ালপথ) নির্মাণ, ২০০ মিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নির্মাণ করা।’

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে তিন বছর মেয়াদে এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল। কয়েকবার নকশা পরিবর্তন হওয়ায় এর মেয়াদ ও প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৭২১ কোটি টাকা। বর্তমানে ব্যয় দাঁড়াচ্ছে চার হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে রেল লাইনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ খুলনার রুপসা নদীর ওপর নির্মিত রেলসেতুর নির্মাণ কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন