২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



ভ্যাট বসালে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হবে: সেতুমন্ত্রী

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ১৯ মে, ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম
ভ্যাট বসালে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হবে: সেতুমন্ত্রী


মেট্রোরেলে ভ্যাট না বসানোর পক্ষে অভিমত জানালেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে, এটা হতে পারে না। এটা রং ডিসিশন। ভারতে মেট্রোরেলে কি ভ্যাট আছে? ভারতে ভ্যাট নেই, আমরা কেন করবো? ভ্যাট বসালে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হবে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি, তিনি বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’ রবিবার (১৯ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ঢাকা মেট্রোরেলের ব্রান্ডিং সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেল এখন আর স্বপ্ন নয়, এটি দৃশ্যমান বাস্তবতা। আমাদের মেট্রোরেল অনেক সুন্দর, শব্দ দূষণ নেই। মেট্রোরেল আমাদের সম্পদ। অথচ পিলারগুলো পোস্টার দিয়ে ভরা। অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা। ২০৩০ সালে আমাদের টার্গেট ছিল ছয়টি এমআরটি লাইনের কাজ শেষ হবে। এরই মধ্যে ১ ও ৫ এর গ্রাউন্ড ম্যাপিং হয়ে গেছে। এ সময় তিনি যাত্রীদের মেট্রোরেল ব্যবহারে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

এ সময় রাজধানীতে চলাচল করা বাসগুলোর গরীব চেহারা দেখলে লজ্জা লাগে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এত গরিব গরিব চেহারা আমাদের বাসের। আফ্রিকার ছোট ছোট শহরেও এর চেয়ে ভালো বাস চলে।

মন্ত্রী বলেন, যে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের বিস্ময়, সে দেশের রাজধানী পৃথিবীর অন্যতম খারাপ রাজধানী। বসবাসযোগ্য ১৪০টি দেশের মধ্যে ১৩০-এর পরে আমাদের অবস্থান। এটা দেশের উন্নয়নের সঙ্গে মেলে না। এই শহরে এত দামী গাড়ি চলে। কিন্তু বাসের অবস্থা এত খারাপ কেন? বারবার কথাবার্তা বলেও সমাধান করা যায়নি। এই অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি পেতেই হবে। ঢাকায় যে বাসগুলো চলে তা দেখলে ভীষণ খারাপ লাগে। এগুলো দেখলে কেমন লাগে। এটা দেখলে আমার লজ্জা লাগে। আমাদের মালিক সাহেবরা কি বিদেশ যান না, দেখেন না! আজ আমাদের বুড়িগঙ্গা শেষ, কর্ণফুলীও শেষ। এখন মুখে লেকচার দিয়ে লাভ নেই। এতবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।

ব্র্যান্ডিং সেমিনারে অতিথিদের আমন্ত্রণ নিয়ে সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে যারা বসে আছেন তাদের বেশিরভাগই আমাদের মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। কিন্তু যাদের কাছে ব্র্যান্ডিং করা দরকার তারা নেই। ৩ লাখ যাত্রী প্রতিদিন উত্তরা থেকে মতিঝিল আসছে, মতিঝিল থেকে উত্তরা যাচ্ছে। এখানে তাদের কাউকে রাখা দরকার ছিল। মন্ত্রণালয়ের লোকদের কাছে ব্র্যান্ডিং করার দরকার আছে কি না- এটা আমি আগেও বলেছি। আমরা কাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছি সেটা আমাদের মনে রাখতে হবে।



আরো পড়ুন