১৯ মে ২০২৪, রবিবার



রামপাল দ্বিতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু

বাগেরহাট করেসপন্ডেন্ট || ০১ জুলাই, ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম
রামপাল দ্বিতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু


বাগেরহাটে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬২০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। বুধবার (২৮জুন)  সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে এই ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়েছে।  রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই কর্মকর্তা জানান, উৎপাদনের প্রথমদিনেই এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় ইউনিটটি ১৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দেওয়া হয়েছে। চাহিদা থাকলে পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় ইউনিটির পূর্ণ ক্ষমতার ৬২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। তিনি আরও জানান, বুধবার (২৮জুন)  সকাল ৮টা ৫১ মিনিট থেকে ১৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের মধ্যদিয়ে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬২০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটটিও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। 

আনোয়ারুল আজিম বলেন, বৃষ্টি ও ঈদের ছুটির কারণে গত চার দিনে দেশে বিদ্যুৎ চাহিদা কম থাকায় দ্বিতীয় ইউনিটির পূর্ণ ক্ষমতার বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়নি। চাহিদা থাকলে পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় ইউনিটির পূর্ণ ক্ষমতার ৬২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডের সরবরাহ করা হবে। এই তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট চালুর পর কয়লা সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটিতে গত কয়েক মাসে একাধিকবার বন্ধ রাখতে হয়। এখন কয়লা সংকট না থাকায় এবং  দ্বিতীয় দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ায় এই কেন্দ্র থেকে সক্ষমতার ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। 

প্রসঙ্গত, সরকার ২০১০ সালে দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সুন্দরবন-সংলগ্ন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ১ হাজার ৮৩৪ একর জমিতে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সরকারের অগ্রাধিকার এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ২০১২ সালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও ভারতের এনটিসিপি লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৩ সালে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের  তৎকালীন  প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। 

এরপর গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন শুরু করে রামপাল ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬২০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট। 

ঢাকা বিজনেস/বাপ্পা/এনই 



আরো পড়ুন