১৯ মে ২০২৪, রবিবার



নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানে বাড়ছে দর্শনার্থী, তবে...

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ১২:০২ পিএম
নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানে বাড়ছে দর্শনার্থী, তবে...


হাজারো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত হয়ে উঠেছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের জাতীয় উদ্যান ও আশুরার বিল। বিলের দীর্ঘতম আঁকাবাঁকা আকৃতির কাঠের সেতু ও জাতীয় উদ্যানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন এলাকার ভ্রমণপিপাসুরা। পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে আসছেন জাতীয় উদ্যানে। 

দিনজাপুরের নবাবগঞ্জে জাতীয় উদ্যান আর কাঠের সেতুটি যেন আশুরার বিলকে একসুতোয় বেঁধেছে। বনের ভেতর ছায়াঘেরা সবুজ মনোরম পরিবেশ  ৫১৭ দশমিক ৬১ হেক্টর এলাকাজুড়ে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় বিল। আর এ বিলের ওপরে অবস্থিত কাঠের সেতু  প্রকৃতিপ্রেমীকে আকৃষ্ট করে। তাই ছুটির দিনে এখানে ভিড় করেন হাজারো প্রকৃতিপ্রেমীরা। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার দর্শনার্থী। 

দর্শনার্থী মোছা. রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘আমাদের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে। শুনেছি দিনাজপুরের নবাববগঞ্জ জাতীয় উদ্যান সবুজঘেরা প্রকৃতি। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে  এসেছি। দেখে মন জুড়িয়ে গেলো।’ 

//

রাবেয়া খাতুন আরও বলেন, ‘এই জাতীয় উদ্যানে যদি বাচ্চাদের খেলাধুলাসহ হৈ হল্লোড় করার মতো কিছু ব্যবস্থা থাকতো, তাহলে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠতো।’ 

বগুড়া থেকে পিকনিক করতে আসা প্রদীপ সাহা বলেন, ‘এই সময়ে সবাই বিভিন্ন স্পর্টে পিকনিকে যায়। আমরা এর আগে স্বপ্নপুরী, রামসাগর, ভিন্নজগৎসহ বিভিন্ন স্পর্টে পিকনিক করেছি। এবার এসেছি নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানে। এখানে আছে আাঁকবাঁকা একটি কাঠের সেতু। সেটি খুব আকর্ষণীয়। সেতুর ওপর দিয়ে হাঁটতে খুব ভালো লাগছে। আছে শালগাছ দিয়ে সবুজঘেরা বিশাল বন। যা দেখে সবাই আকৃষ্ট হবে।’ 

প্রদীপ সাহা আরও বলেন, ‘এটিকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। নবাজগঞ্জ জাতীয় উদ্যানে ট্যুস্ট পুলিশের ব্যবস্থা করা উচিত।’ 

//

জাতীয় উদ্যান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাবুব হোসেন বলেন, ‘যদিও এখানে ট্যুরিস্ট পুলিশ নেই। স্থানীয় থানা পুলিশসহ আমরা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর মাধ্যমে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকি।’ 

নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান ঢাকা বিজনসেকে বলেন, ‘নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানে প্রচুর দর্শনার্থী আসছেন। তাদের কথা বিবেচনা করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশসহ স্বেচ্ছসেবীদের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের  নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে জাতীয় উদ্যানে আসছেন এবং নিরাপদে ফিরে যাচ্ছেন।’

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর নবাবগঞ্জ বন বিটের ৫১৭ দশমিক ৬১ হেক্টর এলাকাকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করে সরকার। 

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন