১৮ মে ২০২৪, শনিবার



বাঘের আক্রমণের শিকার কৃষক হাসপাতালে ভর্তি

বাগেরহাট সংবাদদাতা || ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৭:৩২ পিএম
বাঘের আক্রমণের শিকার কৃষক হাসপাতালে ভর্তি


বাঘের আক্রমণের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মো. ফজলু গাজী (৬২) নামে একজন কৃষক। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের উত্তর রাজাপুর গ্রাম সংলগ্ন বনে গরু আনতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসায় অবস্থার উন্নতি না হলে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা হাসপাতালে তাকে ভর্তি করেন স্বজনরা।

আহত কৃষক মো. ফজলু গাজী শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা।

চিকিৎসাধীন ফজলু গাজী বলেন, ভোলা নদী পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় আমাদের এ গ্রামের গরু-মহিস খাবারের সন্ধানে বনের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তাই বনের মধ্যে যেতেই গরু পেয়ে যাই। পেছন দিয়ে হাক দিলে গরু বাড়ির দিকে রওনা দেয়। সেদিন টের পাই পেছন দিক থেকে কী যেন দৌড়ে আসছে। ফিরে বাঘ দেখে আমি চিৎকার শুরু করি। তখন সামনের খালে দুই নৌকায় থাকা ১০/১২ জনও চিৎকার শুরু করে। এরই মধ্যে বাঘ আমার একটা পা কামড়ে ধরে। তখন নৌকার লোকজন দৌড়ে আসলে বাঘ আমাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়।

ফজলু গাজীর ছেলে মো. ফিরোজ গাজী বলেন, গরু আনতে আমার বাবা সেদিন বনে গিয়েছিলেন। বাঘের আক্রমণের শিকারও হন। বাবার কোনো পাস (বনে প্রবেশের অনুমতি) কার্ড নেই। তাই ভয়ে আমরা কাউকে কিছু বলিনি। তা-ছাড়া টাকা-কড়ির জোগান না থাকায় স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করাচ্ছিলাম। সবশেষ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক ডাক্তার দেখালে তিনি আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন।

বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, বাঘের কামড়ে আহত ফজলু গাজীর ডান পায়ের ক্ষত অনেক বেশি। সেখানে গভীর গর্ত হয়ে গেছে। পরিবারটি অনেক গরিব, চিকিৎসার ব্যয় মেটানো তাদের জন্য কঠিন। আমরা তাকে ভর্তি করে হাসপাতাল থেকে সব ধরনের সেবা দিচ্ছি। আজ (১১ ফেব্রয়ারি) তার পায়ের ক্ষত স্থানে অস্ত্রোপচার করা হবে।

বাপ্পা/এম



আরো পড়ুন