১৮ মে ২০২৪, শনিবার



নাজমার দৃষ্টিনন্দন ছাদবাগান

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা || ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৩:৩২ পিএম
নাজমার দৃষ্টিনন্দন ছাদবাগান


নাজমা সিদ্দিকা। পেশায় একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। থাকেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী শহরে। এ শহরের পাঁচতলা বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন বাগান। ইতোমধ্যে শাক-সবজি ও ফল-ফুলে ভরে গেছে বাগানটি। বাহারি রঙে সেজে উঠেছে পুরো ছাদ। খানিকটা দাঁড়িয়ে থাকলে মনে হয় এটি যেন একটি পরিপূর্ণ বাগান।    

সম্প্রতি পলাশবাড়ীর পৌর শহরের নাজমা সিদ্দিকার বাড়ির ছাদজুড়ে দেখা গেছে, নানা রঙের বৃক্ষের সমারোহ। এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সবজি, মসলা ও ফলের গাছ। এসময় পরিচর্যায় ব্যস্ত ছিলেন তিনি। 


জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলা খোদ্দকোমরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার নজেল হোসেনের স্ত্রী নাজমা সিদ্দিকা। বসবাস করেন পলাশবাড়ী পৌর শহরের প্রফেসরপাড়ার পাঁচতলা বাড়িতে। পেশা হিসেবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তিনি। তার নিজের বাসার ছাদে করেছেন বাগান। বিভিন্ন টবের মাধ্যমে এবং অন্যান্য পদ্ধতিতে এই বাগানে লাগানো হয়েছে ওলকপি, ফুলকপি, মিষ্টি কুমড়া, সিম, পেঁয়াজ, শাক, টমেটো, মরিচ প্রভৃতি। ছাদজুড়েই রয়েছে কয়েক প্রজাতির পেঁপে, মাল্টা, লিচু, লেবু, আম, বড়ই ও ড্রাগন।

স্থানীয়রা জানান, নাজমা সিদ্দিকা তার চাকরির পাশাপাশি বেশি সময় দেন ছাদবাগানে। এ বাগানের পরিচর্যাসহ উন্নত জাতের ফসল উৎপাদনই তার নেশায় পরিণত হয়েছে। এ থেকে উৎপাদিত সবজি দিয়েই পরিবারের খাদ্য চাহিদা পূরণ করেন তিনি। ইতোমধ্যে তার ছাদবাগান দেখে আরও অনেকে উৎসাহিত হয়ে উঠছেন। স্বাস্থ্য সচেতনতা নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি সুবিধা নিশ্চিত করণে অনেকেই ছাদে বাগান তৈরির অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন। বাগানের গাছপালার সংস্পর্শে এসে বিচিত্র আনন্দের স্বাদগ্রহণ করছেন আরও অনেকে। নাজমার পরিকল্পিতভাবে একটা সুন্দর ছাদবাগান করে পরিবারের চাহিদামতো নিরাপদ ফল-সবজি আহরণ করছেন।


প্রতিবেশী মাহমুদা বেগম বলেন, ‌নাজমা সিদ্দিকা ছাদ বাগান করেছেন এটি খুবই প্রশসংনীয়। তার এ ছাদে উঠলেই প্রকৃতি যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে। বাগানের প্রতিটি গাছেই যেন ফল ও ফুলে ভরে গেছে। ছাদজুড়ে মনোরম পরিবেশ মুহূর্তেই যেন মন হারিয়ে যায় দূর অজানায়। এমন একটি বাগান করার ইচ্ছা রয়েছে।

বাগান মালিক নাজমা সিদ্দিকা বলেন, বাগান তৈরিতে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে উন্নত জাতের সুস্থ-সবল চারা বা কলম সংগ্রহের গুরুত্ব অপরিসীম। সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ছাদ বাগান করলে, সেটি থেকে পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বাজারজাত করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, গত ২০০৪ সালে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর থেকে ইচ্ছা ছিল নিজের ভবনে ছাদবাগান করার। এরপর ২০১৯ সালে নিজের ভবন হওয়ায় সখের বসে ছাদ বাগানটি গড়ে তুলেছি। এখান থেকে বিষমুক্ত ফুল, ফল, ফসল নিজ পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশীদের দিয়ে থাকি।  


এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু বলেন, মাঠে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করার পাশাপাশি নাজমা সিদ্দিকা শখের বসে ছাদবাগান করে সাফল্য পেয়েছেন। এটি খুবই ভালো উদ্যোগ। তাকে সাধুবাদ জানাই।     

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন