১৮ মে ২০২৪, শনিবার



শিল্প-সাহিত্য
প্রিন্ট

গাফ্ফার চৌধুরীর ‘একুশের গান’ মাতৃভাষাপ্রেমীদের মর্মবাণী: ডিজি বাংলা একাডেমি

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৫:১২ পিএম
গাফ্ফার চৌধুরীর ‘একুশের গান’  মাতৃভাষাপ্রেমীদের মর্মবাণী: ডিজি বাংলা একাডেমি


আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী আমাদের সাহিত্যভুবনে ও জাতীয় জীবনের এক অবিস্মরণীয় নাম বলে মন্তব্য করেছন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। তিনি বলেন, আমাদের একুশ , আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত একুশের গানও এখন পৃথিবীব্যাপী মাতৃভাষাপ্রেমী মানুষের মর্মবাণী।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় বাংলা একাডেমির শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে সাহিত্যিক-সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠাতে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি পত্রিকা ও মিলনায়তন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. সরকার আমিন। ‘আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর ছোটোগল্প: বিষয় ও প্রকরণ’ শীর্ষক বক্তব্য প্রদান করেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক ড. রকিবুল হাসান।  অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।

ড. সরকার আমিন বলেন, ‘আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন স্মরণীয় নাম। আমাদের সাহিত্য ও  সাংবাদিকতাকে তিনি উচ্চমাত্রায় উন্নীত করেছেন।’

ড. রকিবুল হাসান বলেন, ‘আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর সাংবাদিক এবং কলাম-লেখক পরিচিতির আড়ালে যেন চাপা পড়ে গেছে তাঁর কথাসাহিত্যিক পরিচয়। অথচ তিনি বাংলা ছোটোগল্পের কুশলী কারুকারদের একজন। তাঁর ‘সম্রাটের ছবি’ এবং এ ধরনের আরও বেশকিছু গল্পে উপনিবেশিত সমাজ এবং মানুষের মনোলোক অসাধারণ ব্যঞ্জনায় উদ্ভাসিত হয়েছে। তিনি ধর্মীয় ও সামাজিক রক্ষণশীলতার নানা চিত্র তাঁর নানা ছোটোগল্পে শৈল্পিক প্রতিবাদ হিসেবে সার্থকভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন।’ 

মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ‘আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী একজন সচেতন নাগরিক এবং লেখক হিসেবে সমকালীন রাজনৈতিক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে সোচ্চার কলমযোদ্ধার ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবন উত্তরপ্রজন্মের চির-অনুপ্রেরণার উৎস।’

ড. মো. হাসান কবীর বলেন, ‘আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী একুশের অমর গানের রচয়িতা হিসেবে বাংলার ইতিহাসে চিরস্থায়ী আসন লাভ করেছেন। বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।’

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাইমন জাকারিয়া।

ঢাকা বিজনেস/এমএ/



আরো পড়ুন