কক্সবাজার জেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জেলায় মোট ১৫১টি প্রতিমা পূজা মণ্ডপে ২০ জন করে ৩ হাজার ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষিণ দায়িত্ব পালন করছেন। সঙ্গে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রতিটি মণ্ডপে থাকছে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা।
জেলার ব্রাহ্ম মন্দিরে কক্সবাজার জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি উজ্জ্বল কর এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এবার কক্সবাজার জেলায় ৩১৫টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে। যা গত বছরের তুলনায় ১০টি বেশি। এর মধ্যে প্রতিমা পূজা বেড়েছে মাত্র একটি। অপর ৯টি ঘট পূজা। জেলায় মোট ১৫১টি প্রতিমা পূজা ও ১৬৪টি ঘট পূজা হবে। পূজা শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করে সার্বিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আগামী ২৪ অক্টোবর সৈকতের লাবণী পয়েন্টে প্রতিবছরের মতো প্রতিমা বিসর্জন হবে। অনুষ্ঠানটি হবে দেশের সর্ববৃহৎ।’
উজ্জ্বল কর জানান, জাতীয় নির্বাচনের সামনে ও নানা পরিস্থিতির কারণে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর জন্য জেলার মোট ১৫১টি প্রতিমা পূজা মণ্ডপে ২০ জন করে ৩ হাজার ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষিণ দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের সঙ্গে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আর প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা।
সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ বলেন, ‘ইতোমধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে নামাজের সময়সূচি নেওয়া হয়েছে। এই সময়সূচি প্রতিটি মণ্ডপে প্রদর্শিত থাকবে। নামাজের সময় অবশ্যই মাইক, ঢোল-বাজনা বন্ধ থাকবে।’
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, মুহাম্মদ আলী জিন্নাত, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা রতন দাশ, দীপক শর্মা দীপু বক্তব্য রাখেন।
পূজার সার্বিক বিষয় নিয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পূজা শান্তিপূর্ণ করতে পূজা উদযাপন পরিষদকে নিয়ে প্রশাসনের সমন্বয় সভা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি মণ্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার থাকবে। পুলিশের টহল জোরদার থাকবে। সাদা পোশাকে বাড়ানো হবে নজরদারি। আশা করছি, জেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হবে শারদীয় দুর্গাপূজা।’
তাফহীম/এইচ