ভারতের নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোববার (২৮ মে) সকালে নয়াদিল্লিতে নতুন পার্লামেন্ট ভবনের উদ্বোধন করা হয়। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির একটি প্রতিবেদন থেকে এতথ্য জানা যায়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশটির লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগে পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী পৌঁছনোর পরেই নতুন সংসদ ভবনে সকলের মঙ্গল কামনায় পূজা শুরু হয়। ১৫ মিনিট ধরে চলে এই পূজা। নতুন সংসদ ভবনে সর্বধর্ম প্রার্থনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্পিকার, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
নতুন সংসদ ভবনে স্বর্ণদণ্ড সেঙ্গল স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরেই শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে ৭৫ টাকার স্মারক মুদ্রা কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই মুদ্রা নতুন সংসদ ভবনের স্মারক হিসাবে থাকবে।
এদিকে, গত ২৪ মে সম্মিলিতভাবে ভারতের কয়েকটি বিরোধীদল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের ঘোষণা দেয়। এই তালিকায় কংগ্রেস, তৃণমূল ছাড়াও আপ, শিব সেনা (উদ্ধব শিবির), আরজেডি, জেডিইউ, ডিএমকে, এনসিপি, সিপিআইএম-সহ গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দল রয়েছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আমন্ত্রণ না পাওয়ায় এ নিয়ে তুমুল বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ক্ষমতাসীন বিজেপি ও বিরোধী দলের নেতারা।
প্রসঙ্গত, আয়তনের দিক থেকেই নয়, স্থাপত্য এবং কারুকার্যের দিক থেকেও নজরকাড়া ভারতের এই নতুন সংসদ ভবন। সংসদ ভবনের বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে আসা হয়েছে দেশটির এক-একটি বিশেষ স্থান থেকে। কার্পেট আনা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের বিখ্যাত মির্জাপুর থেকে। মেঝে করার বাঁশ আনা হয়েছে ত্রিপুরা থেকে। পাথর আনা হয়েছে রাজস্থান থেকে। চেয়ার, টেবিলসহ সেগুন কাঠের আসবাব আনা হয়েছে মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে।
ভবনটির লাল-সাদা পাথরের কারুকাজের বেলেপাথর আনা হয়েছে রাজস্থানের সারমাথুরা থেকে। কারুকাজে ব্যবহৃত সবুজ পাথর রাজস্থানের উদয়পুর থেকে আর লাল গ্রানাইট আনা হয়েছে আজমিরের লাখা থেকে। এক কথায়, নতুন সংসদ ভবন ভারতের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির পরিচয় বাহক হয়ে উঠতে চলেছে।
সংসদ ভবনটি ত্রিভূজাকৃতির। এটি ৬৪,৫০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে।
চার তলাবিশিষ্ট সংসদ ভবনের তিনটি প্রধান ফটকের নাম যথাক্রমে জ্ঞান দ্বার, শক্তি দ্বার এবং কর্ম দ্বার। এছাড়া, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের প্রবেশের জন্য আলাদা দ্বার আছে এই ভবনে।
ঢাকা বিজনেস/এইচ