দিনাজপুরের হিলিতে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে বিবর্ণ আকার ধারণ করে মরে যাচ্ছে বীজতলার ইরি-বোরো চারা। এর ফলে সঠিক সময়ে ইরি-বোরো ধান রোপণ নিয়ে অনেকটাই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দিনাজপুরের হিলির কৃষকরা। বোরো চারা যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়ায় কথা বলছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা।
উপজেলার পালপাড়া গ্রামের কৃষক মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘নিজের ৫ বিঘা জমিতে আগামী ইরি-বোরো ধান রোপণ করতে আগাম বীজতলা প্রস্তুত করেছিলাম। মনে করেছিলাম এবার রোরো বীজ প্রস্তুত হলে আগেভাগেই ধান রোপণ করতে পারবো। কিন্তু শীতের প্রথম থেকে শৈত্যপ্রবাহের কারণে সেই আশায় গুড়েবালি। আবারও নতুন করে চারা তৈরি করতে হবে। উপজেলার প্রায় বীজতলার কমবেশি একই চিত্র।’
ইসবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ মন্ডল বলেন, ‘এবার শীতের শুরু থেকেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত পড়ে এই অঞ্চলে। যার ফলে বিবর্ণ আকার ধারণ করে মরে যাচ্ছে বেশির ভাগ ইরি-বোরো বীজতলার চারা।’
নওপাড়া গ্রামের কৃষক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বোরো বীজতলা রক্ষার জন্য কৃষি বিভাগের পরামর্শে বিভিন্ন ওষুধসহ কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না। তাই সঠিক সময়ে বোরো রোপণ নিয়ে হাতাশায় আছি।’
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হাকিমপুর উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় আগামী মৌসুমে ইরি-বোরো ধান রোপণের জন্য ৩৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে কিছু কিছু বীজতলার চারা বিবর্ণ আকার ধারণ করে মরে যাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বীজতলা রক্ষায় কৃষকদের প্রতিদিন সকালে বীজতলা থেকে পানি বের করে দেওয়া, ওষুধ প্রয়োগসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।’
ঢাকা বিজনেস/এইচ