দ্বৈরথি আবাদি অক্ষরগুলো
আমার উন্মুক্ততা সবুজের দিগন্ত সমান
অপার সৌন্দর্যের মাঠ আটকে আছে
বিষণ্ন চার্জশিটে,
লড়াকু ঝর্নার মতো চঞ্চল বাহু তার ;
অভদ্র চাহনিতে ঝুলন্ত জলপাই
লালন মুর্শিদির গানে অর্ধনগ্ন বৈঠক;
ফেরানো যায় না তাকে আর
আগুনরোদের মলয়ে
তাই পাখিদের গানে ফিরে আসে মানবিক স্রোত ;
দ্রোহ স্বাধীনতায় অক্সিজেনের সুখ দহন
নিস্তব্ধ পরিযায়ী পাখির মতো বছর খানেক তাই-
আমি বসে থাকি নিশ্চুপ।
প্রত্যাবর্তন
আমি অবোধ শিশুর মতো
নিলামে তুলে দেই হাসি কান্না
এখানে ঘুম পাড়ানির গান শোনায়
বনের শেয়ালি শব্দ
বিষাদ জখমে প্রলেপ ঢালে প্রায়শ্চিত্ত সময়,
পারদ সীমানায় বাঁক টেনে দেয়
ভালোবাসার বর্ধিত কলম;
জানাশোনা কোন মুদি দোকানে খুঁজি
ডিম কুসুম চাঁদের মতো ললিপপ
এখানে বজ্রপাত এলে আমি চলে যাই
অমাবস্যার দখলে
হয়ে উঠি এক ইতিহাসদ্রোহ।
পতাকার ছায়াতলে বিভেদের হাসি
আজ টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া হাসে
জাতিগত বিদ্বেষ ভুলে বিজাতিরাও হাসে,
রাজাকার হাসে, হাসে তাদের উত্তরসূরী ও
স্বাধীনতার হাসি আমার মুখে,
হাসি আবার মুখ মুখোশে
এক হাসিতে মুক্তিযোদ্ধা ,এক হাসতেই মীরজাফর
এক হাসিতেই হৃদয় দোলে, এক হাসিতেই মিথ্যে হাসে
বাংলা আমার সোনার থালায় ভাত বেড়ে দেয় হাসিমূখে;
শত ধৈর্য রাখে সবুজের বিস্ময়
যেখানে আছে শত বিভেদের দেয়াল, তপ্ত খেদ ,
সব হাসিকেই আগলে রাখে আমার সবুজ বাংলাদেশ।
গন্ধমের মতো প্রেম
আমি আমার গ্রন্থিতে নিয়ে হাঁটি
আঘাতের তীর
তুমি চলো ভৃত্যের মতো
আমার পেছন সারিতে
আমি আগুনে লিখি জীবন্ত চিঠি
জীবাস্ম গড়ে প্রেম
বালিতে বিস্ময় দেখে অতীত স্মৃতি
তুমি হয়ে ওঠো গন্ধমের নগরী।