০৮ জুলাই ২০২৪, সোমবার



হিলিবন্দর দিয়ে যে-কারণে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ০৫ জুলাই, ২০২৪, ০১:০৭ পিএম
হিলিবন্দর দিয়ে যে-কারণে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে


দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কমেছে পেঁয়াজ আমদানি। আগে যেখানে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। বর্তমানে ২ থেকে ৪ ট্রাক আমদানি হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। 

আমদানিকারকেরা বলছেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় তারা পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় প্রতিকেজি পেঁয়াজে অতিরিক্ত ২৫ টাকা গুনতে হচ্ছে। ভারত সরকার ৪০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করলে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা কেজির নিচে নেমে আসবে। এদিকে হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলছেন, তারা বন্দর থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে ভারতীয় পেঁয়াজ কিনে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। আর দেশি পেঁয়াজ ৮৫ টাকা কেজি দরে কিনে বিক্রি করছেন ৯০ টাকায় বিক্রি করছেন। 

হিলি বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক আলহাজ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভারত  সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় প্রতিকেজি পেঁয়াজে ২৫ টাকা অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে। এ কারণে আমদানিকারকেরা পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন।’

শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আগে পেঁয়াজ আমদানি করে প্রতিকেজির দাম পড়তো ৪০ টাকা। কিন্তু ভারত সরকার ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় প্রতিকেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়ছে ৬৫ টাকা। এরসঙ্গে ট্রাক ভাড়া, বাংলাদেশের কাস্টমসের শুল্কসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রায় ৭০ থেকে ৭২ টাকা খরচ পড়ছে । ভারত সরকার ৪০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করলে দেশে পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা নিচে নেমে আসবে।’ 

হিলিবাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা কেজি দরে কিনে খুচরা ৮০ টাকায় বিক্রি করছি। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৯০ টাকা কেজি দরে।’ 

পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘বুধবার (৩ জুলাই) ভারত থেকে ১ ট্রাক ও বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ৩টি ভারতীয় ট্রাকে ৮৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আর আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) সরকারি ছুটি থাকায় বন্ধ আছে আমদানি-রপ্তানি।’ 




আরো পড়ুন