বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্লু ইকোনমির গুরুত্ব অনেক বেশি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ব্লু ইকোনমি আমাদের সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহার বৃদ্ধিতে অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র উন্মোচন করেছে।’ বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ওশান প্রসপারিটি : ক্যাটালাইজিং ব্লু ইকোনমি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, ‘‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমুদ্র সম্পদের গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৭৩ সালে প্রথম সামুদ্রিক গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করেছিলেন- যা ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’’
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনা বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের উপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছেন। সুতরাং সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের পাশাপাশি অতিরিক্ত মাছ ধরা নিয়ন্ত্রণ, সমুদ্র দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার মতো চ্যালেঞ্জ সামনে এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘ব্লু ইকোনমি খাতের সাফল্য পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের ওপর নির্ভর করে। সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারি খাত ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিলে একত্রে কাজ করলে সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব।’