১৮ মে ২০২৪, শনিবার



হিলিতে সবজির দামে স্বস্তি

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ২২ মে, ২০২৩, ০৫:০৫ পিএম
হিলিতে সবজির দামে স্বস্তি


দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। এতে করে স্বস্তি ফিরে এসেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। তারা বলছেন, এক সপ্তাহ আগে সবজির দাম যেভাবে বাড়তে শুরু করেছিল, তা সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছিল। বর্তমানে দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে এসেছে। তবে পেঁয়াজের দাম আরেকটু কমলে ভালো হতো। 

এদিকে, বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বাড়লে এমনিতেই দাম কমে আসে। আর সরবরাহ কমলে দাম বেড়ে যায়। তারা কৃষকদের কাছ থেকে যে দামে কিনে আনেন, থেকে দু’চার টাকা লাভ রেখে বিক্রি করেন। 

মঙ্গলবার ( ২২ মে) হিলি কাঁচাবাজারে  সবজি কিনতে এসেছেন হিলি রেল কলোনির মো. মজিবর রহমান। তিনি ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘পেঁয়াজ ছাড়া প্রায় সব  সবজির দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। গত  ১৫ মে পটল ছিল ৬০ টাকা কেজি। আর আজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজ ছিল ৮০ টাকা কেজি, আজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।’

আরেক ক্রেতরা দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন কাঁচা তরকারির বাজারে এসে একটু স্বস্তি পাচ্ছি। কয়েকদিন আগে তো বাজারে আসলেই চোখ কপালে উঠতো। বেগুন ছিল ৬০ টাকা কেজি। আজ সেই বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। গত  ১৫ মে প্রতিকেজি করলা ছিল ৮০ টাকা। আজ কিললাম ৬০ টাকা কেজি দরে। তবে রসুন আর শুকনো মরিচের দাম কমেনি। ১৪০ টাকা কেজি দরের রসুন ১৪০ টাকা ও ৪০০ টাকা কেজি দরের শুকনো মরিচ (কারেন্ট) ৪০০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে।’

খচুরা সবজি বিক্রেতা আবু জাফর বলেন, ‘আমরা পাইকারদের কাছ থেকে কিনে খুচরা বিক্রি করি। আমরা ছোট দোকানদার সারাদিন যে পরিমাণ বিক্রি হয়, তা অনুমান করে কিনে সন্ধ্যার মধ্যে বিক্রি করে শেষ করি। এতে যা লাভ হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে হয়।’

পাইকারি সবজি বিক্রেতা মো. কাওছার আলী বলেন, ‘এই উপজেলায় সবজি  আবাদ হয় না বললেই চলে। যা হিলি বাজারে আসে পাশের উপজেলা পাঁচবিবি ও বিরামপুর থেকে। ওই এলাকার কৃষকরা হিলিতে তাদের উৎপাদিত সবজি হিলিতে এনে বিক্রি করে। আমরা তাদের কাছ থেকে কিনে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি।’

মো. কাওছার আলী বলেন, ‘যখন যে-দামে কিনি, তার চেয়ে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। কারণ কৃষকদের কাছ থেকে আমাদের নগদ টাকায় কিনে খচুরা বিক্রেতাদের কাছে বাকিতে বিক্রি করতে হয়। তারা আবার সারাদিন বেচাকেনার করার পর সন্ধ্যার পর টাকা পরিশোধ করে। অনেকে আবার বাকিও রাখে। সবজির বাজারে সব জায়গায় এভাবেই চলে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই



আরো পড়ুন