১৬ জুন ২০২৪, রবিবার



শিল্প-সাহিত্য
প্রিন্ট

আসছে সাদিয়া সুলতানার উপন্যাস নীলগর্ভ

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম
আসছে সাদিয়া সুলতানার উপন্যাস নীলগর্ভ


অমর একুশে বইমেলায় আসছে সাদিয়া সুলতানার উপন্যাস ‘নীলগর্ভ’। বইটির প্রকাশক  জলধি প্রকাশনী। প্রচ্ছদ ও নামলিপি করেছেন নাসরীন জাহান ববি ও নির্ঝর নৈঃশব্দ্য। নীলগর্ভের মলাট মূল্য ৩৫০ টাকা। বইমেলায় জলধি প্রকাশনীর স্টল নম্বর ৩৪৮ থেকে ২৫% কমিশনে উপন্যাসটি সংগ্রহ করা যাবে।

‘নীলগর্ভ’র ফ্ল্যাপে বলা হয়েছে, ‘রোজ সন্ধ্যায় নদীর ধারে নির্ঝরের যেই হুহুপাখি বসে থাকে তাকে দেখলেই আমার মায়ের কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে মা যখন শাসন করত তখন মাকে দুচোখে দেখতে পারতাম না। এখন আমার পানিপচা নখের কোনায় কোনায় মাকে দেখি, আমার গর্ভজলের নীলে মাকে দেখি, কপালের ভাঁজে নিয়তির দাগে মাকে দেখি। হাতের পাতার যেই রেখাগুলো হলুদ-মরিচের ছোপছাপে মুছে গেছে সেখানেও মাকে দেখি। মাকে দেখতে দেখতে বুঝি আমাদের দুজনের চেহারায় অদ্ভুত মিল।

মিলান্তি মিলান্তি খেলতে খেলতে আমার চুলে সাদা রঙ ধরে যায়। ভাবি সাদা হতে হতে একদিন আমি কাশবন হবো। আমি আর মা তখন নদীর সিঁথিতে পাশাপাশি শুয়ে থাকবো আর উড়ুক্কু মেঘের কাছে গল্প করবো-এই জীবন আমাদের কী কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কী দেয়নি।’

‘নীলগর্ভ’ উপন্যাসের ফ্ল্যাপ আর নাম থেকে পাঠক হয়তো কাহিনির কাঠামো সম্পর্কে একটা ধারণা করতে পারবেন আবার পারবেনও না। নীলগর্ভের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে সুরভি, হাসান আর অপর্ণাকে নিয়ে। কখনো কখনো সন্তানসুখ একটা দম্পতির প্রাপ্তি আর পূর্ণতা-এই দুইয়ের মধ্যে নিবিড় সংযোগ করে দেয়। এই সুখ কখনো ঘন, কখনো গাঢ়, কখনো কাছের, কখনো দূরের। নীলগর্ভ উপন্যাসে সুরভি, হাসান আর অপর্ণা তাদের নিত্যকার সুখ, অ-সুখে তাড়িত হয়। এই তাড়না কখনো তাদের পরস্পরের কাছে আনে, কখনো বা দূরে ঠেলে দেয়। পরস্পরকে ছুঁয়ে থাকলেই কি একজন মানুষ আরেকজনের যন্ত্রণাকে স্পর্শ করতে পারে? হয়তো পারে, হয়তো পারে না। যারা পারে না, তারাই হয়তো মৃত্যুতে মুক্তি খোঁজে। আর তাই আত্মবিধ্বংসী ভাবনাও কারও কারও কাছে পরম আরাধ্যের হয়ে ওঠে। এমন কয়েকজন মানুষের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব আর মানসিক টানাপড়েন নিয়ে ‘নীলগর্ভ’-এর আখ্যান এগিয়ে গেছে।

সাদিয়া সুলতানার জন্ম ১৯৮০ সালের ৫ জুন, নারায়ণগঞ্জে। ইতোপূর্বে তার প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ: চক্র, ন আকারে না, ঘুমঘরের সুখ-অসুখ, মেনকি ফান্দার অপরাধ কিংবা পাপ ও উজানজল।প্রকাশিত উপন্যাস: আমি আঁধারে থাকি, আজু মাইয়ের পৈতানের সুখ, ঈশ্বরকোল ও বিয়োগরেখা 

কথাসাহিত্যচর্চার স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন ‘চিন্তাসূত্র সাহিত্যপুরস্কার-২০২২’।



আরো পড়ুন