১৮ মে ২০২৪, শনিবার



বিশেষ প্রতিবেদন
প্রিন্ট

যে কারণে শেয়ারবাজারে টার্নওভার কমেছে

মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান || ১৮ মে, ২০২৩, ০৭:০৫ পিএম
যে কারণে শেয়ারবাজারে টার্নওভার কমেছে


সদ্য বিদায়ী সপ্তাহে (১৪ মে-১৮ মে ২০২৩) দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তারা বলছেন, কোনো সপ্তাহে সেল প্রেসার কমবে-বাড়বে, আবার কোনো সপ্তাহে বাই প্রেসার (কেনার চাপ) বাড়বে-কমবে। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এটা স্বাভাবিক একটি বিষয়। মোটের ওপর মার্কেট বর্তমানে ভালো অবস্থানে রয়েছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ডিএসইতে সদ্য বিদায়ী সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৬৭৯ কোটি ৬৮ লাখ ২৪ হাজার ৬৩৮ টাকা। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩ হাজার ৯৫৭ কোটি ৩৫ লাখ ৫৩ হাজার ৫৯১ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ২৭৭ কোটি ৬৭ লাখ ২৮ হাজার ৯৫৩ টাকা। 

বিদায়ী সপ্তাহে ৪০২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের। আর দর বেড়েছে ১০৯টির, দর কমেছে ৭৪টির এবং ১৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশগ্রহণ করেনি। 

এদিকে মিশ্র প্রবণতায় বিদায়ী সপ্তাহে সূচকের লেনদেন শেষ হয়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক (ডিইএক্স)বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে(১৮ মে) এসে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৯০ পয়েন্ট। এর আগের সপ্তাহের একই সময়ে যা ছিল ৬ হাজার ২৭২ পয়েন্ট। এক্ষেত্রে সূচক বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট। 

এছাড়া ডিএসই শরিয়াহ্ (ডিএসইএস) সূচক বিদায়ী সপ্তাহে কমেছে ৪ পয়েন্ট। এর আগের সপ্তাহে শরিয়াহ্ সূচক ছিল ১ হাজার ৩৭২ পয়েন্ট। এছাড়া ডিএসই ৩০ সূচক(ডিএস৩০) গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ২ হাজার ১৯৪ পয়েন্ট। যা থেকে বিদায়ী সপ্তাহে ১ পয়েন্ট বেড়েছে। বাজার মূলধন কিছুটা বেড়েছে। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭০ হাজার ৬৩৭ কোটি ৮৬ লাখ ৫৮ হাজার ২৫৬ টাকা। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৭ লাখ ৬৬ হাজার ১০৬ কোটি ৭৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩৭১ টাকা। সপ্তাহে ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৫৩১ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ৮৮৫ টাকা। অর্থাৎ ০ দশমিক ৫৯ শতাংশ বাজার মূলধন বেড়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ(সিএসই)ও সপ্তাহের ব্যবধানে মোট লেনদেন কমেছে। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৭২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮ টাকা। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৭০ কোটি ৩৪ লাখ ২১ হাজার ৮৭৬ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মোট লেনদেন কমেছে ২ কোটি ৬১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩৮ টাকা। এদিকে সিএসই’র প্রধান সূচক (সিএএসপিআই) বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ১৮ হাজার ৫৩০ পয়েন্ট। এর আগের সপ্তাহের একই সময়ে যা ছিল ১৮ হাজার ৪৯০ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক বেড়েছে ০ দশমিক ২ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক গত সপ্তাহের তুলনায় বিদায়ী সপ্তাহে কমেছে ০ দশমিক ১০ শতাংশ, সিএসসিএক্স বিদায়ী সপ্তাহে বেড়েছে ০ দশমিক ১৮ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক কমেছে ০ দশমিক ১৮ শতাংশ, সিএসআই কমেছে ০ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং সিএসইএসএমইএক্স কমেছে ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘ওভার অল মার্কেটের অবস্থা ভালো। তবে সেল প্রেশার বেশি থাকায় টার্নওভার কিছুটা কমেছে।  এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মার্কেট আগামীতে আরও ভালো হবে।’

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী মোহাম্মদ রেজাউল করিম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড থেকে কিছু বিনিয়োগ হওয়ার কথা মার্কেটে। এছাড়া ব্যাংক থেকেও কিছু বিনিয়োগ হওয়ার কথা রয়েছে। কমিশনের সঙ্গে তাদের কথা হচ্ছে বিনিয়োগের ব্যাপারে। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিনিয়োগ এলে বর্তমান সময়ের চেয়ে শেয়ার মার্কেটে টার্নওভার অনেক বেশি বাড়বে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন