যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে যথাযথ মর্যাদা ও বিনম্র শ্রদ্ধায় দিবসটি পালিত হয়।
শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ বুদ্ধিজীবীগণ ও অন্যান্য শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা আজকের দিনটিকে বাংলাদেশের তথা বিশ্বের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙালি জাতির নিশ্চিত বিজয় আসন্ন আঁচ করতে পেরে পাক হানাদার বাহিনী দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হানাদার বাহিনীর দোসর ও স্বাধীনতাবিরোধীদের সহযোগিতায় পাকবাহিনী পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্যদিয়ে তাদের পরাজয়ের জঘন্যতম প্রতিশোধ নেয়। বাংলাদেশ যাতে আর কখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সেটাই ছিল বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মূল লক্ষ্য। এ প্রসঙ্গে তিনি মহান স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের ধারাকে বেগবান করতে সকলের প্রতি আহ্বন জানান ও বিশেষ করে তরুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের শপথ নেয়ার আহ্বান জানান কনসাল জেনারেল।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য, শহিদ বুদ্ধিজীবীবৃন্দ এবং শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এর পূর্বে কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকা কর্তৃক আয়োজিত শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানমালায় অংশগ্রহণ করেন ও নিউইয়র্কের ডাইভারসিটি প্লাজায় অস্থায়ীভাবে স্থাপিত শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাত ১২:০১ মিনিটে কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
ঢাকা বিজনেস/এমএ/