১৯ মে ২০২৪, রবিবার



টাঙ্গাইলে যমুনায় ভাঙন: বাড়িঘরসহ হুমকিতে স্কুল

আব্দুল্লাহ আল নোমান, টাঙ্গাইল || ০৬ মে, ২০২৩, ০৯:০৫ এএম
টাঙ্গাইলে যমুনায় ভাঙন: বাড়িঘরসহ হুমকিতে স্কুল


টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবারিয়া ইউনিয়নে অসময়ে যমুনা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। ফসলি জমি, ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে অসংখ্য পরিবার। ভাঙনের মুখে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এলাকাবাসীর দাবি, নদীভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী গাইড বাঁধ নির্মাণ এখন জরুরি। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমুনা নদীর ভাঙনে দিশেহারা মানুষ। চৈত্র-বৈশাখ মাসেই নদী তীরবর্তী ধুবড়িয়া ইউনিয়নের বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে। এখনই পদক্ষেপ না নিলে স্কুলটি দু’একদিনের মধ্যে চলে যাবে যমুনায়। এরই মধ্যে বিভিন্ন গ্রামে শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। রাস্তা, কালভার্ট ও বহু ঘর-বাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা যমুনা নদীর গর্ভে চলে গেছে।  

স্থানীয়রা জানান, গত ১৫ দিনের ভাঙনে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়াও, অনেকের ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 

স্থানীয় বাসিন্দা আরজু মিয়া বলেন, ‘গত বছর ভাঙনের শিকার হয়ে অন্যত্র ঘর করেছিলাম। কিন্ত এবারও নদী ভাঙনের শিকার হয়েছি। আমাদের কিছু বাড়ি নদীতে চলে গেছে। বাকিটুকু অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’ 

বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙন এতটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এতে এলাকার শিশুদের পড়া লেখা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই স্কুলটি রক্ষায় নদী ভাঙন প্রতিরোধে  দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।’

ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শাকিল বলেন, ‘নদীভাঙন শুরু হয়েছে। বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে। স্কুলটি রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহতি করা হবে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘নদী ভাঙনের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহতি করে ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন