১৮ মে ২০২৪, শনিবার



বিশেষ প্রতিবেদন
প্রিন্ট

হাওরে ধুম লেগেছে ধান কাটার, ৬০ ভাগ শেষ

তানভীর আহমেদ, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) || ২৩ এপ্রিল, ২০২৩, ১১:০৪ পিএম
হাওরে ধুম লেগেছে ধান কাটার, ৬০ ভাগ শেষ


সোনালি ধানে হাসছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার হাওরগুলো। চারদিকে এখন উৎসব মুখর পরিবেশে ধান কাটা চলছে। শ্রমিকের পাশাপাশি এই উপজেলায় ৬০টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনের (ধান কাটার মেশিন) সাহায্যে ধান কাটা হচ্ছে। ফলে ধান কাটতে শ্রমিক সংকট পড়েনি। কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত হাওরের ৬০ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে বলে আশা তাদের।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর-সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ১৭ হাজার ৪২০হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা তাদের।

উপজেলার বৃহত্তর শনি, মাটিয়ান ও মহালিয়া হাওর ঘুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, হাওরে শ্রমিকদের পাশাপাশি কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে পুরোদমে বোরো ধান কাটা চলছে। চলছে মাড়াইও। পাশপাশি কিষাণিরা ধান ঝাড়াই করে শুকিয়ে গোলায় তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষক-শ্রমিকদের কেউ ক্ষেত থেকে ধান কেটে টানছেন, কেউ রোদে ধান শুকানোর কাজ করছেন, কেউ মেশিন দিয়ে ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত, কেউ কেউ সনাতন পদ্ধতিতে ধান মাড়াই-ঝাড়াইর কাজে করছেন।

স্থানীয় একাধিক কৃষক জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ফসলের ফলন ভালো হয়েছে। ধান কাটায় কোনো ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। এমনকি শ্রমিক সংকটও পড়েনি।

শনি হাওরের কৃষক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বোরোর ফলন ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে।’

মাটিয়ান হাওরে কৃষক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘হাওরে ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে, এ বছর ফলন ভালো হয়েছে।’

তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান উদ দৌলা বলেন, ‘উপজেলার সবকটি হাওরে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাওরে ৬০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক পাকা ধান দ্রুত কাটার জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।’তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন হাওরে বোরো ধান কাটায় নিয়োজিত ৬০টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটা হচ্ছে। আশা করছি, শ্রমিক সংকট হবে না। আশা করছি, এই বছর বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।’ 

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন