১৮ মে ২০২৪, শনিবার



তথ্যমন্ত্রী
প্রিন্ট

বিএনপি জোটের আকার অ্যামিবার মতো ছোট-বড় হয়: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার || ০৬ এপ্রিল, ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম
বিএনপি জোটের আকার অ্যামিবার মতো ছোট-বড় হয়: তথ্যমন্ত্রী


বিএনপি জোটকে অ্যামিবার সঙ্গে তুলনা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী  ড. হাছান মাহমুদ।  তিনি বলেন, ‘অ্যামিবা যেমন নিজে ভাগ করে দু’টা হয়, আবার চারটা হয়, বিএনপির জোটও ঠিক সে রকম। ২২ দলীয় জোট ছিল, হলো ১২ দলীয় জোট আবার ক’দিন পরে শুনি তারা ৫৪ দলীয় জোট।  বিএনপি জোটের আকার অ্যামিবার মতো ছোট-বড় হয়। এ জন্য তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব।’বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল)  দুপুরে সচিবালয়ে  বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)-এর সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিতে ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম সবাই আছে। সবাইকে একত্রিত করে ঘোষণাপত্র দেওয়া তো কঠিন কাজ। বিএনপির মধ্যে আবার কয়েকটি ভাগ, চেয়ারপারসনের ধারা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের ধারা, মির্জা ফখরুল সাহেবের ধারা, সংস্কারপন্থীদের ধারা -সব ধারাকে এক করা সেটিও কঠিন কাজ।’

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই আইন দেশের সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছে। আর আমাদের এ আইন আমেরিকার আইনের চেয়ে অনেক সহজ। আমেরিকায় ডিজিটাল অপরাধের জন্য ২০১৫ সালের আইনটি ২০২২ সালে সংশোধন করা হয়। আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি রাখা হয়েছে ২০ বছরের কারাদণ্ড। আমাদের দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এতো কারাদণ্ড নাই। আমেরিকার আইনে ডিজিটাল অপরাধের প্রেক্ষিতে যদি কারো মৃত্যু হয় সেক্ষেত্রে শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন ,‘ইউরোপীয় ইউনিয়নও ২০২২ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তার নতুন আইন করেছে। প্রায় সব দেশেই এই আইন আছে। অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও আমাদের চেয়ে কঠিন। সুতরাং এই আইন বাতিল করার প্রশ্নই আসে না। তবে এতে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সাংবাদিকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে অবশ্যই নজর দেওয়া প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই অনেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আরও কি কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটি আইন মন্ত্রণালয় দেখছে, আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকদের লেখনীর ফলেই রাষ্ট্র এবং সমাজের পক্ষে অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হয়। অপরাধীরা অনেককেই হুমকি দেয়, এটি সমীচীন হয়। সাংবাদিকরা সাহস নিয়ে কাজ করলে আমি মনে করি সমাজ উপকৃত হবে, রাষ্ট্র উপকৃত হবে।’ তিনি বলেন, 

তবে সবসময় খেয়াল রাখাতে হবে রিপোর্টিং করতে গিয়ে যেন কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়।  দেখা যায়, অনেক সময় রিপোর্ট হয়, আসলে লোকটা সেই ক্ষেত্রে অপরাধী নয়। এ বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি, ক্রাইম রিপোর্টারদের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ একান্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।’

এ সময়  আরও উপস্থিত ছিলেন, ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদসহ কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যরা ।

ঢাকা বিজনেস/এমএ/



আরো পড়ুন