২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার



৩০ টাকার মরিচ ১০০ টাকা

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা || ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ১০:০২ পিএম
৩০ টাকার মরিচ ১০০ টাকা


এক সপ্তাহ আগে গাইবান্ধার হাট-বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ৩০ টাকা দরে। সেটি এক লাফে বেড়ে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গাইবান্ধার পুরাতন বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে এতথ্য জানা যায়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ মানভেদে ৯০ থেকে ১০০ দামে কেনা-বেচা হচ্ছে। এসময় বেশি দাম নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ক্রেতা-সাধারণের তর্ক-বিকর্তও দেখা গেছে।

জানা যায়, রবি মৌসুমের এই সময়ে কৃষকের ক্ষেতে অধিক পরিমাণ কাঁচা মরিচ গাছে ঝুললেও সেগুলো তোলা হয় কম। চরাঞ্চলের বেশিরভাগ কৃষক শুকনা মরিচ বিক্রি করার লক্ষ্যে গাছে পাকাতে শুরু করেছে। এ কারণে কাঁচা মরিচ উৎপাদন কম হচ্ছে। এর চাহিদার অপ্রতুল হওয়ায় দাম বাড়তে শুরু করেছে।        

ফুলছড়ি চরের কৃষক নওয়াব আলী জানান, তিনি ৪০ শতক জমিতে মরিচ আবাদ করেছেন। ফলনও হয়েছে ভালো। সপ্তাহ খানেক আগে প্রত্যেক দিন কাঁচা মরিচ ছিঁড়ে বিক্রি করতেন। বর্তমানে মরিচ তোলা বন্ধ করেছেন। শুকনা (সুট) মরিচ বিক্রির জন্য ক্ষেতে পাকাচ্ছেন। 

গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আজাদুল ইসলাম বলেন, আড়তে বেশি দাম দিয়ে কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ইদানিং দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। 

এ বাজারে মরিচ কিনতে আসা শহিদুল ইসলাম নামের এক ভ্যানরিকশা চালক বলেন, একদিক কমেছে আয়-রোজগার। অন্যদিকে কাঁচা মরিচসহ বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এমন পরিস্থিতির কারণে সব পণ্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। যেন সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। 

ধাপেরহাট এলাকার খাজানুর রহমান নামের আরেক কৃষক জানান, গাইবান্ধা জেলায় মরচিসহ প্রচুর শাক-সবজি উৎপাদন হয়। এসব সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় কৃষক-ক্রেতা উভয়ে ক্ষতির শিকার হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বেলাল বলেন, চলতি মৌসুমে এ জেলায় ২ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। সম্প্রতি ক্ষেতে মরিচ পাকাচ্ছেন কৃষকরা। এজন্য কাচাঁ মরিচের উৎপাদন কম রয়েছে। আর কিছুদিন পর বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।  

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন