১৭ জুন ২০২৪, সোমবার



যে কারণে হিলিতে বাড়ছে শুঁটকির চাহিদা

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০২:৩২ পিএম
যে কারণে হিলিতে বাড়ছে শুঁটকির চাহিদা


দিনাজপুরের হিলিতে শুঁটকি মাছের প্রতি ঝুঁকছেন সাধারণ মানুষ। এতে বেড়েছে শুঁটকির চাহিদা। সাধারণ মানুষ জানান, বর্তমান বাজারে মাছ, মাংস, ডিমের দাম গত একমাসে কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। তাই নিরামিষকে সুস্বাদু করতে শুঁটকি মাছের ব্যবহার করছেন তারা। তাজা মাছের চেয়ে শুঁটকি মাছের দাম বেশি হলেও পরিমাণে কম দিলে তাতেই ঘ্রাণ চলে আসে। 

হিলি বাজারে কথা হয় শুঁটকি মাছ ক্রেতা আব্দুল গণির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমিষ জাতীয় তরকারি (মাছ, মাংস, ডিম) এর  ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে আমাদের মতো মধ্যবিত্তের পক্ষে নিরামিষ ছাড়া গতি নেই। তাই নিরামিষ জাতীয় সবজির সঙ্গে শুঁটকি দিয়ে রান্না করলে কিছুটা হলেও তরকারি সুস্বাদু হয়। তাই শুঁটকি কেনা।’ 

মোছা. আকলিমা বেগম বলেন, ‘তাজা মাছের চেয়ে শুঁটকির দাম অনেক বেশি। তবে শুঁটকি ৫০ গ্রামও কেনা যায়। যা অন্য আমিষ জাতীয় পণ্য কেনা যাবে না। আমি ৫০ গ্রাম চিংড়ির শুঁটকি ৩০ টাকা দিয়ে কিনলাম। কিন্তু ৩০ টাকা দিয়ে কোনো মাছ কেনা সম্ভব না। এই ৩০ টাকার শুঁটকি মাছ দিয়েই তরকারি সুস্বাদু করা যাবে।’ 

হিলি বাজারের শুঁটকি-বিক্রেতা মো. জাহিদুল ইসলাম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আগে শুঁটকির তেমন চাহিদা ছিল না। এখন একটু চাহিদা বেড়েছে। মানুষ সবজিতে শুঁটকি মাছের ব্যবহার করায় বিক্রি বেড়েছে। আমি অন্য জায়গা থেকে শুঁটকি কিনে এনে হিলিতে বিক্রি করি।’ 

জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি চিংড়ির শুঁটকি ৫০০ টাকা কেজি আর মলা মাছের শুঁটকি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। হিলিতে এই দুটি মাছের শুঁটকির চাহিদা বেশি। তবে ক্রেতারা সাধারণত ১০০ গ্রাম ও ৫০ গ্রাম করেই শুঁটকি  বেশি কেনেন। মাছের দাম বেড়ে যাওয়ায় হয়তো শুঁটকির চাহিদা একটু বেড়েছে। আগে যেখানে দিনে ৫০০ গ্রাম শুঁটকি বিক্রি হতো, এখন সেখাখেন দেড় থেকে দুই কেজি শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে।’ 

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন