০২ জুন ২০২৪, রবিবার



‘নির্বাচনে যে কটি আসনে ইসি ইভিএম দেবে, মেনে নেবো’

ঢাকা বিজনেস রিপোর্ট || ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৮:৩১ পিএম
‘নির্বাচনে যে কটি আসনে ইসি ইভিএম দেবে, মেনে নেবো’


তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মন্দাপীড়িত বিশ্বে মানুষের কল্যাণই সর্বাগ্রে এবং সে কারণে ইভিএম প্রকল্পে ১ মিলিয়ন ডলার ব্যয় না করে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে যতগুলো আসনে ইভিএম করা সম্ভব, আমরা সেটা মেনে নেবো।  

রাজশাহীতে রোববার (২৯ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভার প্রস্তুতি উপলক্ষে সেখানে মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইভিএম নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

ড. হাছান বলেন, ‘‘বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছি। আমরা অবশ্যই চাই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমের যে আধুনিক প্রযুক্তি এখন বিশ্বে ব্যবহার হয়, যেখানে কারচুপি বা অন্য কোনো সুযোগ নেই, সেটি ব্যবহার করতে। এবং দেশে খালেদা জিয়ার সময় যে স্লোগান ছিল ‘দশটা হোন্ডা, বিশটা গুণ্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা’, এগুলো বন্ধ করার জন্য আমরা ইভিএম চেয়েছি।’’ 

মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ইভিএম পদ্ধতির জন্য পৌনে ৯ হাজার কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় এক মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছে, যেহেতু ইভিএমগুলো কিনতে হবে, কিন্তু এই বিশ্বমন্দা অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে এই প্রকল্প পাস করে ইভিএম কেনা সমীচীন নয়। কারণ এই সময়ে আমাদের কাছে মানুষের অন্যান্য কল্যাণ অগ্রাধিকার। তাই আমরা চাইলেও বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন যদি সব আসনে ইভিএমে ভোট করতে না পারে, যে কয়টি আসনে করতে পারুক, আমরা সেটা মেনে নেবো।’

নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি অনড় -এ নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশ যেমন ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের দেশগুলোর মতোই আমাদের দেশে সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হবে। জিততে পারবে না জেনেই বিএনপি নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করে।’

রোববারের জনসভায় ১৪ দলের নেতারা যোগ দিতে পারবেন কি না এ প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জনসভাটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের, ১৪ দলীয় জোটের নয়। তবে আমাদের জোটের শরীকরা, তারা আমন্ত্রিত, তারা এলে আমরা খুশি হবো।’

আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন, দলের কেন্দ্রীয় সদস্য বেগম আকতার জাহান, রাজশাহী মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন