২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার



হিলিতে কমেছে মুরগির দাম

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ০১ জুন, ২০২৪, ০৬:৩৬ এএম
হিলিতে কমেছে মুরগির দাম


দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে সব জাতের মুরগির দাম। প্রতিটি জাতের মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে গেলো শনিবার (২৫ মে)  প্রতিকেজি দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর  শনিবার (১ জুন) বিক্রি হচ্ছে ৫২০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে কমেছে ব্রয়লারসহ পাকিস্তানি মুরগির দামও। ক্রেতারা বলছেন, ব্রয়লার ও পাকিস্তানি মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে। তবে দেশি মুরগির দাম আরও একটু কমলে যারা ব্রয়লার বা পাকিস্তানি মুরগির খান না। তাদের জন্য সুবিধা হতো। আর বিক্রেতারা বলছেন, কোরবানির ঈদের আগে হয়তো খামরিরা কম দামে ব্রয়লার ও পাকিস্তানি মুরগি বাজারে ছেড়ে দিচ্ছেন। তাই সরবরাহ বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে দেশি মুরগিরও সরবরাহ। তাই দাম কমেছে। 

শনিবার (১ জুন) হিলি বাজারে ব্রয়লার মুরগির কিনতে এসেছেন মো. এনতাজ আলী। তিনি বলেন, ‘আমি মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। সপ্তাহে একদিন ব্রয়লার মরগি কিনি। গেলো শনিবার প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির কিনেছিলাম ১৯০ টাকা কেজি দরে। আর আজ কিনলাম ১৭০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ২০ টাকা দাম কমেছে। এছাড়া পাকিস্তনি মুরগির কেজি ছিল ৩২০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে।’ 

এনতাজ আলী আরও বলেন, ‘কোরবানির ঈদ পর্যন্ত যদি এমন কম দাম থাকে। তাহলে আমাদের মতো মানুষদের জন্য সুবিধা হবে।’

আরেক ক্রেতা মো. রাশেদ খান বলেন, ‘দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি ছিল। আজ কেজিতে ৩০ টাকা কমে ৫২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমি এককেজি একটু বেশি ওজনের মুরগি ৬০০ টাকা দিয়ে কিনলাম।’ 

মুরগি বিক্রেতরা মো. বাবু হোসেন ঢাকা বিজনসেকে বলেন, ‘আমরা খামারিদের কাছ থেকে মুরগি কিনে বিক্রি করি। যখন যে দাম যায়, তার ওপর কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। কারণ সব মুরগি তো একদিনে বিক্রি হয় না। মুরগির খাবার দিতে হয়। অনেক সময় গরমের কারণে মারা যায়।’ 

বাবু হোসেন আরও বলেন, ‘এখন বাজারে ব্রয়লার ও পাকিস্তানি মুরগির সরবরাহ বেড়েছে। তাই দাম কমে এসেছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি ব্রয়লার ১৮০ টাকা কেজি কিনে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করেছি। আর এখন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৭০ টাকায় বিক্রি করছি। পাকিস্তানি মুরগিরও একই অবস্থা। তবে দেশি মুরগির দাম আগেও বেশি ছিল। ৫৫০ টাকা কেজি। তা এখন ৫২০ টাকায় নেমে এসেছে।’




আরো পড়ুন