আধুনিক প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। প্রতিনিয়ত কার্যকর ও সময়োপযোগী প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করেছে তারা।
মঙ্গলবার (১৭ই জুলাই) অনুষ্ঠিত হয়েছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই বিভাগের ২৮ তম ব্যাচের স্নাতক শ্রেণীর ফাইনাল প্রজেক্ট ডিফেন্স। এসময় তারা ৩টি প্রজেক্ট প্রদর্শন করে।
প্রজেক্ট ৩টি হলো; কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় রচিত লেখা শনাক্তকরণ, ছাদ কৃষি বিষয়ক মোবাইল অ্যাপ ও বিনিয়োগ সহযোগী ওয়েবসাইট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় লেখা শনাক্তকরণ মাধ্যমে Chat GPT, BARD,Writer ইত্যাদি বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে কোনো লেখা চুরি বা নকল করলে সেটা শনাক্ত করতে সক্ষম হবে এটি।
ছাদ কৃষি বিষয়ক মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে মানুষকে ছাদ কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়ার কাজে ব্যবহার ও সমস্যার সমাধান দেওয়া হবে।মানুষকে ছাদ কৃষি বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করাই এর মূল উদ্দেশ্য।
বিনিয়োগ সহযোগী ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিনিয়োগ প্রত্যাশি ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযোগ ঘটাবে। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্থনীতিতে অর্থের প্রবাহ বজায় থাকবে বলে প্রত্যাশা করছেন তারা।
এর আগে গবি'র সিএসই বিভাগের ২৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও সময়োপযোগী এবং আকর্ষণীয় প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করেছিলো। তার মধ্যে অন্যতম হলো Agriculture Drone,Desktop Voice Assisted Home Automation System ও IOT এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর আধুনিক বাগান পরিচর্যা ও পানি দেওয়া পদ্ধতি।
IOT এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর আধুনিক বাগান পরিচর্যা ও পানি দেওয়া পদ্ধতি হলো মোবাইল অ্যাপ্লকেশনের মাধ্যমে ছাদ বাগানের সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য স্মার্ট সমাধান। পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে নিজ বাগানের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বাগানের গাছের নাম ও যত্ন,রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধ, মাটির সার ও জৈবিক উপাদানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানা যাবে এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে।
এগ্রিকালচার ড্রোনের মাধ্যমে কৃষি জমি বা ফার্মে মশা নিধনের জন্য কীটনাশক, ভিটামিন, হরমোন ইত্যাদি খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োগ করা যাবে। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ৪০ ডেসিমাল কীটনাশক জমিতে স্প্রে করা যাবে। যার জন্য খরচ হবে মাত্র ১০ টাকা।
Desktop Voice Assisted Home Automation System এর মাধ্যমে মানুষের জীবনকে সহজ করার জন্য ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য এই সিস্টেম তৈরি করা হয়। ডেক্সটপ-ল্যাপটপ বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে স্মার্ট হোম বানানো যাবে। ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। হোম অটোমেশন সিস্টেমের মাধ্যমে ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করা যায়।এই সিস্টেমের কার্যাদির দিক থেকে গুগলের আলেক্সার সাথে তুলনা করছেন তারা।
এ সম্পর্কে সার্বক্ষনিক তত্ত্বাবধান, সার্বিক সহযোগিতা ও বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. করম নেওয়াজ। তিনি বলেন, 'এ ধরনের উদ্ভাবন দেশের প্রযুক্তি বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আধুনিক প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমি আমার শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করে যাব।'
ঢাকা বিজনেস/এন/