দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। গত বৃহস্পতিবার প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও বেড়েছে দেশিসহ পাকিস্তানি মুরগির দামও। ক্রেতারা বলছেন, রমজান মাসের প্রথমদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়লো না। কিন্তু শেষেরদিকে এসে কেজি ২০ টাকা বেড়েছে। ঈদের আগেতো মনে হচ্ছে আরও বাড়তে পারে। আর বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে খামারিরা বাজারে কম পরিমাণ মুরগি আনছেন। তারা হয়তো ঈদের সময় লাভের আশায় বড় সাইজের মুরগি তৈরি করছেন। তাই বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ
আগের চেয়ে কমেছে। দামও কেজি বেড়েছে ২০ টাকা করে।
বৃহস্পাতিবার হিলি বাজারে ব্রয়লার মুরগি কিনতে এসেছেন মো. গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘আমি গেলো সপ্তাহে প্রতিকেজি ব্রয়লার কিনি ১৮০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু আজ দেখছি ২০০ টাকা কেজি দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। কী আর করার বাধ্য হয়ে কেজিতে ২০ টাকা বেশি দিয়েই কিনতে হলো।’
আরেক ক্রেতা মো. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমি প্রতি সপ্তাহে একবারে ৩ থেকে ৪ কেজি ব্রয়লার মুরগি কিনি। কিন্তু দিনদিন ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তেই আছে। রোজার আগে ছিলো ১৬০ টাকা কেজি। মধ্য রোজা পর্যন্ত ১৮০ টাকা কেজি কিনেছি। আজ ২০ রোজার পর ২০০ কেজি দরে কিনতে হচ্ছে।’
নাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘ঈদের আগে মনে হচ্ছে দাম আরও বাড়তে পারে। গত বছর কোরবানি ঈদের সময়ও প্রতিকেজি ব্রয়লার ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এবারও তাই হতে পারে।’
ব্রয়লার মুরগি বিক্রেতা মো. জামাল হোসেন বাবু ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমরা তো রমজানের শুরুর দিকে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেছি। তথন সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। এখন ধীরে ধীরে সরবরাহ কমে আসছে। খামারিরা হয়তো মুরগির সাইজ বড় করার জন্য অল্প পরিমাণে মুরগি বাজারে আনছেন। তাই দাম একটু বেড়েছে। গত সপ্তাহে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আর আজ বিক্রি করছি ২০০ টাকা কেজি দরে।’
বাবু আরও বলেন, ‘শুধু ব্রয়লার মুরগি না। পাকিস্তানি ও দেশি মুরগির দামও বেড়েছে। ২৮০ টাকা কেজি দরের পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজি দরে। আর দেশি মুরগি ৩৮০ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকায়।’
/ঢাকা বিজনেস/এনই/