দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে জিরা ছাড়া সব ধরনের মসলার দাম। ক্রেতাদের অভিযোগ, ডলার রেট বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে বেশি দামে মসলার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতারা বলছেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন আমদানি হচ্ছে আদা, রসুন, জিরা, এলাচসহ নানান ধরনের মসলাজাত পণ্য। তারপরও কোনোভাবেই খুচরা বাজারে কমছে না এসব মসলাজাত পণ্যের দাম। এদিকে মসলার দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) হিলিবাজারে মসলা কিনতে আসা আব্দুল জব্বার বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে জিরা ছাড়া বেড়েছে আদা, রসুন, এলাচসহ বেশকিছু মসলা পণ্যের দাম। গেলো মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) হিলির খুচরা বাজারে প্রতিকেজি জিরা ৭০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬৭৫ টাকা কেজি দরে।
আরেক ক্রেতা মো. আব্দুস সালাম বলেন, জিরার দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে অন্য মসলার দাম। প্রতিটি মসলার দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
আব্দুস সালাম আরও বলেন, গেলো সপ্তাহে কালো এলাচ ৩ হাজার ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকা কেজি দরে, সাদা এলাচ ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৩ হাজার ৮০০ । ৪ শ টাকা কেজি দরের দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে, ৯শ টাকা কেজি দরের গোল মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১ টাকা কেজি দরে, ৯০০ টাকা কেজি দরের লং বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও ২০০ টাকা কেজি দরের রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। মসলাজাত পণ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা।
হিলিবাজারের রকমারি মসলার ঘরের মালিক মো. মহসীন আলী ঢাকা বিজনেসকে বলেন, আমাদের আমদানিকারকদের কাছ থেকে আগের চেয়ে বেশি দাম কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। তবে জিরার দাম কমেছে কেজিতে ২৫ টাকা। আগে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। এখন ৬৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
মহসীন আলী আরও বলেন, গেলো সপ্তাহে কালো এলাচ কিনি ৩ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে কিনে ৩ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। এখন কিনতেই হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে। আর বিক্রি করছি ৪ হাজার টাকা কেজি দরে। সাদা এলাচ মানভেদে ৩ হাজার টাকা কেজি দরে কিনে ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। বর্তমানে প্রতিকেজি সাদা এলাচ কিনতে হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে। আর বিক্রি করছি ৩ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে। এভাবে গোল মরিচ, লংসহ সবধরনের মসলার দামই বেড়েছে। আমরাও বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করছি।