০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার



বিবিসির প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিক্তা

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
বিবিসির প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিক্তা


২০২৪ সালের বিশ্বের সবচেয়ে অনুপ্রেরণা জাগানো ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের একমাত্র নারী রিক্তা আখতার বানু। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। 

বিবিসির বিবেচনায় বিশ্বে ২০২৪ সালে প্রভাবশালী নারীর মধ্যে রয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নাদিয়া মুরাদ, মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস, ধর্ষণ থেকে বেঁচে যাওয়া গিসেল পেলিকট, অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন, অলিম্পিক অ্যাথলেট রেবেকা আন্দ্রে ও অ্যালিসন ফেলিক্স, গায়ক রায়ে। আরও রয়েছেন ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট ট্রেসি এমিন, জলবায়ু প্রচারক আডেনিকে ওলাডোসু, লেখিকা ক্রিস্টিনা রিভেরার মতো নারীরা।

গাজা, লেবানন, ইউক্রেন ও সুদানের প্রাণঘাতী সংঘাত এবং মানবিক সংকট থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী রেকর্ড সংখ্যক নির্বাচন পরবর্তী সামাজিক বিভাজনের সাক্ষী হওয়া পর্যন্ত চলতি বছর নারীরা চরম প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন। এই সময়ে নিত্যনতুন উপায়ে এই নারীদের দৃঢ়তার পরিচয় দিতে হয়েছে।

এই ১০০ নারীর মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের এক নারী। উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নার্স রিক্তা আখতার বানুর বাড়ি। সেখানে প্রতিবন্ধী শিশুকে অভিশাপ হিসেবে দেখা হয়। রিক্তার নিজের মেয়ে প্রতিবন্ধী ও সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। মেয়েকে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর নিজের জমি বিক্রি করে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন রিক্তা। স্কুলটির নাম ‘রিক্তা আখতার বানু-লুৎফা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়’।

রিক্তা আখতার বানুর লার্নিং ডিসেবিলিটি স্কুলে এখন ৩০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুলটি শুরুতে অটিস্টিক বা শেখার অক্ষমতা আছে,এমন শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হলেও এখন বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আছে, এমন শিশু শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়। রিক্তার এই উদ্যোগ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিষয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

বিবিসির এই ১০০ নারী এই বছর নারীদের ওপর যে চাপ পড়েছে তা স্বীকার করেছেন। তারা তাদের দৃঢ়তার মাধ্যমে পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছেন। কারণ বিশ্ব পরিবর্তিত হচ্ছে। এই নারীদের অনেকেই জলবায়ুর জরুরি অবস্থার প্রভাব নিয়েও সচেতন। তাই এখানে সব জলবায়ুর অগ্রদূতদের তুলে ধরা হয়েছে যারা তাদের সম্প্রদায়কে এর প্রভাব মোকাবিলা করতে সহায়তা করছেন।



আরো পড়ুন